ঢাকা, ২৪ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, মাঠপর্যায়ে নিয়োজিত মশককর্মীদের কার্যক্রমের উপর মনিটরিং বৃদ্ধি করায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে।

আজ রোববার নগর ভবনে অনুষ্ঠিত 'ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া সংলাপ: প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও নিয়ম' শীর্ষক সমন্বয় সভা ও সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সভায় প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, বিশেষ কমিটির সদস্যবৃন্দ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ঊর্ধ্বতন কীট নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এবং ডিএনসিসির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিএনসিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ৬ হাজার ৮৫০ জন। ২০২৫ সালের জুলাই মাসে তা নেমে এসেছে মাত্র ৮৪৪ জনে। তবে প্রশাসক এজাজ বলেন, 'সংখ্যাটি হ্রাস পেলেও তা এখনো উদ্বেগজনক।'

তিনি জানান, মশককর্মীদের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ)-কে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। তাদের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর ফলেই চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ১৫ দিনে রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৭০ জনে।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, 'ডেঙ্গু মোকাবেলায় মনিটরিং ও সুপারভিশনের পাশাপাশি জনসচেতনতা এবং জনসম্পৃক্ততা অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়ে সবাইকে আরও সক্রিয় হতে হবে।'

প্রশাসক এজাজ বলেন, 'ঢাকা শহরে মশা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত বাজার ও হকারদের কারণে সৃষ্ট অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। শহর নোংরা হয়ে যাওয়ায় মশার প্রজনন বাড়ছে। উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েও এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।'

তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'মশা নিধন কার্যক্রম বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ছাড়া কখনো সফল হবে না। মশার উৎস ধ্বংস করতে হলে আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে হবে এবং শহরের সর্বত্র পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নিশ্চিত করতে হবে।'

সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী উভয়েই আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, কার্যকর মনিটরিং এবং সবার সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আসন্ন মৌসুমে ডেঙ্গুর ঝুঁকি সফলভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।