নির্বাচন কমিশনের সামনে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশ কাল

বাসস
প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ২৩:০০ আপডেট: : ২১ মে ২০২৫, ১৬:০২
ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া

ঢাকা, ২০ মে, ২০২৫ (বাসস) : স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে আগামীকাল (বুধবার) সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

আজ মঙ্গলবার রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, অনতিবিলম্বে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আমলে নিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি। এই দাবিতে আগামীকাল জাতীয় নাগরিক পার্টি, ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

লিখিত বক্তব্যে আখতার হোসেন বলেন, ২০২০ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অবৈধ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকাই দায়ী বলে আমরা মনে করি।

তিনি বলেন, “ইশরাক হোসেন বনাম শেখ ফজলে নূর তাপস গং” মামলার বিবাদী হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন নজিরবিহীনভাবে মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি, যার ফলে একতরফা রায় প্রদান করা হয়েছে। এমনকি রায়ের পরে তারা উচ্চ আদালতে প্রতিকার প্রার্থনা না করে মামলার বাদীকে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।

তিনি আরও বলেন, মামলায় রায় ঘোষনায় আগেই সংশ্লিষ্ট আইনের অধীন গত ১৯ আগস্ট ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এর ফলে পুরো মামলাটিই অকার্যকর হয়ে গেছে। রায় ঘোষণার পর গেজেট প্রকাশের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাইলেও, মতামত প্রদানের পূর্বেই তড়িঘড়ি করে রাতের আঁধারে গেজেট প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক ভূমিকা স্পষ্টতই পক্ষপাতমূলক।

আখতার হোসেন বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন অবৈধ ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার প্রণীত “প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০২২” অনুযায়ী গঠিত, যা সে সময় ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক দল ও পক্ষ প্রত্যাখ্যান করেছিলো।

এতদ্বসত্ত্বেও, আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করেছি যে, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার আগেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। ফলে বিদ্যমান নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার প্রতিফলন ঘটবে না বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে ৷ এর ফলে এই কমিশনের উপর আস্থা রাখা সম্ভব নয় বলেই আমরা মনে করি।

আখতার হোসেন আরও বলেন, “ইশরাক হোসেন বনাম শেখ ফজলে নূর তাপস গং” মামলাকে নজির হিসেবে নিয়ে, সারা দেশে অবৈধ নির্বাচনের প্রার্থীরা আদালতের শরণাপন্ন হয়ে এক জটিল ও সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি করছে। এ সংকট নিরসনে এবং জনদুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনই একমাত্র সমাধান। কিন্তু ফ্যাসিবাদী আইনে গঠিত বর্তমান পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচন আয়োজনে সক্ষম নয় বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
দুর্নীতির মামলায় ছাগলকাণ্ডের মতিউর ও তার স্ত্রী এক দিনের রিমান্ডে
ভোলায় শিক্ষায় আধুনিকীকরণ শীর্ষক সেমিনার 
ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬৮৫
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে এনবিআরের সহযোগিতা চেয়েছে আত্মা-প্রজ্ঞা
কাতারে হামলার পর ইসরাইল সফরে রুবিও
তিন বছর আগের রেকর্ড ভাঙ্গলেন জাকের-শামীম
সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে জাসাসের শোক
ম্যাচ হারের জন্য টপ অর্ডারের ব্যর্থতাকে দুষলেন লিটন
মালদ্বীপ ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স প্রধান ঢাকা সেনানিবাসে ব্যস্ততম দিন পার করছেন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ইনকোর্স পরীক্ষার সময় বাড়লো
১০