ঢাকা, ১৩ জুন, ২০২৫ (বাসস) : শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারি বাড়ির ঘটনা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের ফল, এতে কোনো সাম্প্রদায়িক বা রাজনৈতিক সংযোগ নেই।
আজ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি বাংলাদেশ সরকারের একটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি। প্রতিবছর কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত স্থানটি দর্শন করতে দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। বিগত ৮ জুন শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারি বাড়ির দায়িত্বরত কর্মচারী ও একজন দর্শনার্থীর মধ্যে পার্কিং টিকিট নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ও কথা কাটাকাটির জেরে হাতাহাতি ও মারপিটের ঘটনা ঘটে।’
এই ঘটনায় শাহনেওয়াজ নামে একজন দর্শনার্থীকে মারধর করে আটকে রাখার অভিযোগও পাওয়া যায় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে তদন্ত চলার মধ্যেই ১০ জুন ওই দর্শনার্থী শাহনেওয়াজের পক্ষে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি মানববন্ধন করে। যেখান থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান ও অন্যান্য দায়ী কর্মচারীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন থেকে কাছারি বাড়ির কর্মচারীদের মারধর করার উদ্দেশ্যে উত্তেজিত জনতা কাছারি বাড়িতে প্রবেশ করে। সেই সময় রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে কর্মরত কয়েকজন কর্মচারী আহত হন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এ বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি পাঁচ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে, মামলায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে কাছারি বাড়ির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আজ ১৩ জুন শুক্রবার সকাল থেকে যথারীতি প্রশাসন ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে সঙ্গে নিয়ে কাছারি বাড়ি খুলে দেয়া হয়। রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত কোনো নিদর্শন নষ্ট হয়নি। এ আক্রমণের সঙ্গে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের বাইরে কোনো সাম্প্রদায়িক বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্মান বা মর্যাদাহানিকর কিছু ঘটেনি।
উল্লেখ্য সম্প্রতি বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে গত ২৫ বৈশাখ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় ও আড়ম্বরপূর্ণভাবে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও নওগাঁর পতিসরে উদযাপিত হয়েছে।