খুলনা শিপইয়ার্ডে ৩টি ডাইভিং বোট কমিশনিং করেছেন নৌবাহিনী প্রধান

বাসস
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫, ১৫:৪৭
নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান বৃহস্পতিবার খুলনা নেভাল বার্থে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনটি নবনির্মিত ডাইভিং বোট পানকৌড়ি, গাংচিল এবং মাছরাঙ্গা কমিশনিং করেন। ছবি : পিআইডি- খুলনা

খুলনা, ২৬ জুন, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আধুনিকায়ন ও ত্রিমাত্রিক সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত তিনটি ডাইভিং বোট পানকৌড়ি, গাংচিল এবং মাছরাঙ্গা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হলো।

আজ বৃহস্পতিবার খুলনা নেভাল বার্থে আয়োজিত কমিশনিং অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বোটসমূহের অধিনায়কদের কাছে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন। 

এ সময় সামরিক ও অসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব সক্ষমতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী আধুনিক যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ ও সরঞ্জামাদি তৈরির মাধ্যমে নৌবহরকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২০২১ সালের ১০ জুন  খুলনা শিপইয়ার্ডে কিল লেয়িং এর মাধ্যমে দেশীয় প্রযুক্তিতে তিনটি ডাইভিং বোট নির্মাণ কাজ শুরু করে। নির্মাণ কাজ ও প্রয়োজনীয় টেস্ট ট্রায়াল শেষে গত ৬ মে ডাইভিং বোটসমূহ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে নব সংযোজিত ডাইভিং বোটগুলোর প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৩৮.৯০ মিটার এবং প্রস্থ ৯ মিটার। বোটগুলো ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। ডুবুরি কার্যক্রমের আধুনিকায়নে বোটত্রয়ে সংযোজন করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন প্রত্যাহারযোগ্য মাস্ট, লঞ্চ এবং পুনরুদ্ধার সিস্টেম, ডেক ডিকম্প্রেশন চেম্বার। ডাইভিং কার্যক্রমে ব্যবহৃত আধুনিক সরঞ্জাম ও সেন্সরে সুসজ্জিত এই বোটগুলোর মাধ্যমে নৌবাহিনীর ডুবুরিরা আরও কার্যকর ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্বপালনে সক্ষম হবে। এছাড়া প্রতিটি বোটে রয়েছে ১২.৭ মিলিমিটার হেভি মেশিন গান, উন্নত সার্ভেইল্যান্স র‌্যাডার, জিপিএস, ইকো-সাউন্ডার এবং আধুনিক কন্ট্রোল সিস্টেম।

কমিশনকৃত ডাইভিং বোটসমূহ শান্তিকালীন সময়ে সামুদ্রিক নিরাপত্তা প্রদানসহ ডাইভিং অপারেশন, উদ্ধার অভিযান পরিচালনা, স্যালভেজ অপারেশন, দুর্যোগ ও ত্রাণ তৎপরতায় অংশগ্রহণ, সমুদ্র এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন কনস্টাবুলারি দায়িত্ব পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

উল্লেখ্য ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পরিচালিত অপারেশ জ্যাকপটের গৌরবজনক সাফল্যে ডুবুরিদের সাহসী অবদান অনস্বীকার্য। সেই সঙ্গে যুদ্ধ পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম বন্দর ও কর্ণফুলী নদীর ফেয়ারওয়ে এলাকায় ডুবে যাওয়া জাহাজ ও মাইন অপসারণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক পুর্নগঠনে ডুবুরিগণ ও ডাইভিং বোট অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
রাতে দেশে ফিরবেন মির্জা ফখরুল
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনগত কোন বাধা নেই : অ্যাটর্নি জেনারেল
বিএনপি নেতা নুরুল ইসলামের স্বেচ্ছাশ্রমে নওগাঁয় ৬ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় একব্যক্তি নিহত 
নির্বাচনে জামায়াত ৩শ’ আসনেই পূর্ণ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে : গোলাম পরওয়ার
ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিকের মৃত্যুতে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার শোক 
সীতাকুণ্ডে বাসের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু 
ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিকের মৃত্যুতে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এর শোক
খাগড়াছড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে জেলা প্রশাসনের সহায়তা
ঢাকা-পাবনা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরেজমিন পরিদর্শন
১০