লক্ষ্মীপুর, ১০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ হন ৪ জেলে। নিখোঁজের ১৫দিন পার হলেও এখনো হদিস মিলেনি তাদের। আর এতে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
নিখোঁজেরা হলেন, কমলনগর উপজেলার মধ্য চরফলকনের জেলে দিদার হোসেন (৩৮), চর ফলকনের মো. সেলিম (৫০), মো. সোহেল (৩৫) ও কামাল হোসেন (৪০)।
কামালের ছেলে তানভীর হোসেন জানান, ১৫ দিন পরও বাবার সন্ধান মেলেনি।
আজ রোববার দুপুরে নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজ ৪ জেলের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। তাদের সন্ধানে কাজ করা হচ্ছে।
রুবেল মাঝি জানান, সাগর উত্তাল থাকায় ট্রলার নিয়ে তীরে ফিরছিলেন। পথে হঠাৎ দুর্ঘটনায় তাঁর সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। তিনিসহ ১৩ জেলে কোনোমতে জীবন বাঁচালেও অন্য চারজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সন্ধান মেলেনি ৮০ লাখ টাকা দামের ট্রলারটিরও। এলাকায় ফেরার পর থেকে তিনি নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
নিখোঁজ দিদার হোসেনের শ্বশুর আবুল বাসার জানান, তাঁর জামাতা দরিদ্র পরিবারের সন্তান। দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে দিদারের স্ত্রী ও তিন সন্তানের কান্না থামছে না। মেয়ে ও নাতিদের ভবিষ্যৎ নিয়েই দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে বাসারের।
চরফলকন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন বাঘা বলেন, নিখোঁজ জেলেদের জন্য স্বজনের কান্না থামছে না। তাদের সান্তনা দেওয়ার কোন ভাষা নেই। বিভিন্ন স্থানে খোঁজা হচ্ছে। পরিবারগুলো খাওয়া-ধাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ট্রলারটির মালিক কমলনগরের পাটওয়ারীরহাট এলাকার রুবেল মাঝি। ১৭ জন জেলেকে নিয়ে তিনি ১০ জুলাই গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যান। এরই মধ্যে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে ২৫ জুলাই ট্রলারটি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার পশ্চিমে গ্যাস পাম্পের অদূরে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে। এ সময় ট্রলারের মাঝি রুবেলসহ ১৩ জেলে অন্য জেলেদের সহায়তায় সাঁতরে আরেকটি ট্রলারে ওঠলেও চার জেলে উঠতে পারেননি।