রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি, ভাঙন অব্যাহত

বাসস
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৫, ১৭:২২ আপডেট: : ১১ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৪৫
ছবি: বাসস

মোশারফ হোসেন

রাজবাড়ী, ১১ আগস্ট ২০২৫ (বাসস): রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটসহ ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে উপজেলার কয়েকশ পরিবার। এছাড়া পানি বেড়ে যাওয়ায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

জানা গেছে, দক্ষিণ বঙ্গের প্রবেশ দ্বার হিসেবে খ্যাত এ নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে।

আর ঝুঁকিতে রয়েছে দৌলতদিয়ার ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ফেরিঘাট। এর মধ্যে ৪ ও ৭ নম্বর ঘাট সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। 

যানচালকদের অভিযোগ, উজানের ঢলে নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যেকোনো যানবাহনের নদী পারাপারে আগের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লাগছে। ফেরিতে যানবাহন উঠা-নামাতেও কালক্ষেপণ হচ্ছে। ফলে যানবাহনচালক ও যাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন।  

স্থানীয়দের অভিযোগ, দৌলতদিয়া প্রান্তে ৫ নম্বর ফেরি ঘাটটি সম্প্রতি টর্নেডোতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও সেটি মেরামত করে হয়নি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে, ১ নম্বর ও ২ নম্বর ফেরি ঘাট বন্যা মওসুমের শুরুতেই ওয়াশ আউট হয়ে গেছে। এ কারণে ৩,৪ ও ৫ নম্বর ঘাট দিয়েই ১৫টি ফেরি প্রতিদিন চলাচল করছে।   

এদিকে পদ্মা নদীতে ক্রমাগত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙ্গনের আতঙ্কে দিন গুণছেন স্থানীয়রা। বাড়ি-ঘর নদীতে তলিয়ে এরমধ্যে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু হারিয়েছেন অনেকে। 

দৌলতদিয়ার বাসিন্দা ফাতে আলী জানান, ভাঙনে ৭ নম্বর ঘাটের পাশে আমার বাড়ি মুহূর্তেই গতকাল নদীর পানিতে তলিয়ে গেল। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে পুরো গ্রামই কয়েক দিনের মধ্যে নদীর পানিতে মিশে যাবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে কয়েকদিন ধরে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র ইঞ্জিনিয়াররা ভাঙন রোধে কাজ করছেন। 

বিআইডব্লিউটিএ আরিচা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী নেপাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুর রহমান বলেন, আমরা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। অবস্থা খারাপ হওয়ার আগেই আমরা ব্যবস্থা নিতে পারবো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি বলেন, ফেরিঘাট এলাকায় শিগগির জিও ব্যাগ ফেলাসহ অন্যান্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া এবং স্থায়ীভাবে ভাঙনরোধ প্রকল্প গ্রহণের চেষ্টা চলছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেস্টুরেন্টকে জরিমানা 
ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে চীনা প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
অধ্যাপক ইউনূসকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিল মালয়েশিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন ধর্ম উপদেষ্টা 
কুয়ালালামপুরে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
নেত্রকোণায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু 
মাদারীপুরে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে হুইলচেয়ার বিতরণ
১৭ই আগস্ট থেকে ৫৫ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হবে : খাদ্য উপদেষ্টা
তিনশ’ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
১০