কুষ্টিয়া, ১৩ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : পদ্মা নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতের কারণে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। প্লাবিত হয়েছে নদীপারের নিম্নাঞ্চল ও চরের আবাদি জমি, ডুবে গেছে চলাচলের রাস্তা।
আজ বুধবার দুপুরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা দাঁড়িয়েছে ১২.৯০ সেন্টিমিটারে, যা বিপৎসীমার এক মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গেল এক সপ্তাহে পদ্মা নদীর পানি বেড়েছে এক মিটারের বেশি। আগামী কয়েকদিন পানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল বাসসকে জানান, প্রতিদিন অস্বাভাবিক হারে পানি বাড়ছে। নিম্নাঞ্চলের ধান, মরিচ ও পাটের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ঘরবাড়ি প্লাবিত না হলেও মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ বাসসকে জানান, দুই ইউনিয়নের ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে তলিয়ে থাকায় পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী বাসসকে বলেছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান বাসসকে বলেন, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সকল বাঁধ এলাকা বাড়তি নজরদারিতে রয়েছে। সমস্যা মোকাবেলায় এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতিও রয়েছে।