ঢাকা, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাড়তে থাকা তাপমাত্রা এখন আর কোনো তাত্ত্বিক বিষয় নয়, বরং বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের বাস্তব অভিজ্ঞতা।
তিনি বলেন, ‘তাপমাত্রা বৃদ্ধি একটি বৈশ্বিক ঘটনা হলেও এর প্রভাব বাংলাদেশে অনেক বেশি তীব্র, যা আমাদের জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতিকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।’
আজ রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন ‘অ্যান আনসাসটেইনেবল লাইফ, দ্য ইমপ্যাক্ট অব হিট অন হেলথ এন্ড দ্য ইকোনমি অব বাংলাদেশ’ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কেবল গবেষণা প্রতিবেদনে সীমাবদ্ধ না থেকে সুপারিশগুলোকে সময়সীমা বদ্ধ কর্মপরিকল্পনায় রূপ দিতে হবে। প্রতিটি সংস্থাকে নিজ নিজ ভূমিকা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে এবং জাতীয় পর্যায়ের অংশীজনদের দায়িত্ব নিতে হবে যাতে সুপারিশগুলো কার্যকর পদক্ষেপে পরিণত হয়।
নগর পরিকল্পনার চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, তাপদাহ মোকাবেলায় আমাদের নগর পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করতে হবে- কম কংক্রিট, বেশি সবুজায়ন, কার্যকর গণপরিবহন, ছাদ বাগান এবং ভূমি-ব্যবহার পরিকল্পনার কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, সিটি করপোরেশনগুলো ইতোমধ্যে ব্যাপক সবুজায়ন কার্যক্রম শুরু করেছে, তবে এ উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করা প্রয়োজন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু সহনশীলতার সঙ্গে সুশাসন ও নাগরিক আচরণের পরিবর্তনের সম্পর্ক রয়েছে। গঠনমূলক সংস্কারের পাশাপাশি আমাদের সংস্কৃতি পরিবর্তনও দরকার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান ডিভিশনাল ডিরেক্টর জাঁ পেসমে, এবং সাউথ এশিয়া হেলথ নিউট্রিশন অ্যান্ড পপুলেশন প্র্যাকটিস ম্যানেজার ড. ফেং ঝাও।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশনস অফিসার ইফফাত মাহমুদ এবং সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট ওয়ামেক এ. রাজা।