
ঢাকা, ১ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মে মাসে সংঘাতের সময় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশদুটির মধ্যে ভ্রমণ স্থগিত করার পর, ভারতীয় শিখ তীর্থযাত্রীদেরকে প্রতিবেশী পাকিস্তানের ভিসা দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় নয়াদিল্লি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে শনিবার ভারতীয় সংবাদপত্রগুলো জানিয়েছে যে সরকার ‘নির্বাচিত’ দলগুলোকে শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতার জন্মদিন উদযাপনের জন্য ১০ দিনের উৎসব পালনের জন্য ভ্রমণের অনুমতি দেবে।
১৯৯৯ সালের পর থেকে চির-বৈরী পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে মে মাসের সংঘাতটি সবচেয়ে ভয়াবহ।
মে মাসে পরমাণু অস্ত্রধারী প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দুটি’র মধ্যে মারাত্মক ওই সংঘর্ষের পর, নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে এখনও তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
যুদ্ধের সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও গোলা বিনিময়ে ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয় এবং আন্তঃসীমান্ত স্থলপথটি সাধারণ যানবাহনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তান হাই কমিশন জানিয়েছেন, তারা ‘ভারত থেকে ২ হাজার ১০০ জনেরও বেশি শিখ তীর্থযাত্রীকে’ ভিসা দিয়েছে।
গুরু নানকের জন্মশহর পাকিস্তানের নানকানা সাহিবে আয়োজিত এই উদযাপন অনুষ্ঠানে হাজার হাজার শিখ তীর্থযাত্রীর আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে।
নানকানা সাহিব ভারতের সীমান্ত থেকে ৮৫ কিলোমিটার (৫২ মাইল) পশ্চিমে অবস্থিত। মঙ্গলবার থেকে উৎসবটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের সহিংস অবসানের সময় একটি ঔপনিবেশিক সৃষ্টি ছিল এই সীমান্ত, যা উপমহাদেশকে হিন্দু-প্রধান ভারত এবং মুসলিম-প্রধান পাকিস্তানে বিভক্ত করে।
দুই পাশে পাঞ্জাব রাজ্যের মধ্যে অবস্থিত আটারি-ওয়াঘা স্থল সীমান্ত মে মাসে সাধারণ যানবাহনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সীমান্তে প্রতিদিন পতাকা অনুষ্ঠানের স্থানে দর্শনার্থীরা উভয় পাশের সৈন্যদের সূর্যাস্ত কুচকাওয়াজ দেখতে আসেন।
ভারত-শাসিত কাশ্মীরে ২২ এপ্রিল পর্যটকদের লক্ষ্য করে হামলার জন্য নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে দায়ী করার পর,
মে মাসে দেশ দুটির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
নয়াদিল্লির ওই দাবি ইসলামাবাদ প্রত্যাখ্যান করে।