
ঢাকা, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে রোহিঙ্গা ইস্যুটি প্রায় বিস্মৃত হয়ে পড়েছিল। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিষয়টিকে আবার আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুটি ভুলে যাওয়ার বিষয় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পুনরায় বৈশ্বিক আলোচনায় বিষয়টি ফিরিয়ে আনা সরকারের অন্যতম সাফল্য।’
আজ বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের সভার ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রেস সচিব এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। এ সময় সিনিয়র সরহারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
শফিকুল আলম জানান, চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের ফাঁকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা, মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, ওই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন করে ৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে।
প্রেস সচিব আরও উল্লেখ করেন, চলতি বছরের মে মাসে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস কক্সবাজার সফর করেন এবং আগস্টে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসব পদক্ষেপ ছিল রোহিঙ্গা ইস্যুকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রচেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘সরকার বিষয়টিতে বৈশ্বিক মনোযোগ ফেরাতে জোরালো প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং আমরা এতে সফল হয়েছি।’
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ইঙ্গিত করে শফিকুল আলম বলেন, বাস্তবে কাজ না করেই পতিত স্বৈরাচার ‘মানবতার জননী’ হিসেবে প্রচার করার চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুরু থেকেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে। এজন্য প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস একটি হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিস গঠন করেন এবং রোহিঙ্গা ইস্যু দেখভালের জন্য একজন উচ্চ প্রতিনিধি নিয়োগ দেন।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে এখন পুরো বিশ্ব রোহিঙ্গা সংকট সম্পর্কে অবগত। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনে ইতিবাচক ফল আসবে।