ঢাকা, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেছেন, বাংলাদেশে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের নিবন্ধন, সনদ ও উচ্চ শিক্ষায় অগ্রগতির বিষয়গুলোকে সুশৃঙ্খল ও স্বচ্ছভাবে নিশ্চিত করা জরুরি। এ জন্য অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জাতীয় শিক্ষাক্রমের সঙ্গে সমন্বয় করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অ্যাসিসট্যান্স ফাউন্ডেশনের (বিইএমএসএএফ) একটি প্রতিনিধিদল আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে শিক্ষা উপদেষ্টা তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদলটি এ সময় দেশে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর বিদ্যমান সমস্যা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।
প্রতিনিধিদল জানায়, বর্তমানে ইংরেজি মাধ্যমে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে এডেক্সেল এবং কেমব্রিজ অ্যাসেসমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন (সিএআইই) পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করে থাকে। শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগতভাবেও নিবন্ধনের সুযোগ পায়। তবে স্কুল ভিত্তিক সনদ না থাকলে উচ্চশিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয়।
অনেক শিক্ষার্থী এ ক্ষেত্রে এমন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করেন, যেগুলোর প্রকৃত অস্তিত্ব নেই। এতে ভবিষ্যতে বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
এই প্রেক্ষাপটে প্রতিনিধিদল অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শনাক্তকরণ নম্বর (ইআইআইএন) ব্যবহার করে এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অনুমোদন সাপেক্ষে এডেক্সেল ও সিএআইইয়ের নিবন্ধনের ব্যবস্থা করার দাবি জানায়। পাশাপাশি নবম শ্রেণি থেকে প্রাক-নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালুরও প্রস্তাব দেয়।
প্রতিনিধিরা আরও বলেন, স্কুল চলাকালীন সময়ে কোচিং সেন্টারের কার্যক্রম চালু থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, শৃঙ্খলাবোধ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। তাই এ সময়ে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার দাবি জানান তারা।
এ ছাড়া এডেক্সেল ও সিএআইই পরীক্ষার নিবন্ধন ফি অত্যধিক হওয়ায় তা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রতিনিধিরা। তারা নিবন্ধন ফি সহনীয় পর্যায়ে আনার অনুরোধ জানান।
প্রতিনিধিদলটি দেশের জাতীয় শিক্ষাক্রমের আওতাভুক্ত স্কুল, মাদরাসা এবং কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইংলিশ স্পিকিং ক্লাব গঠনে সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। তাদের মতে, এটি শিক্ষার্থীদের ইংরেজি দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক হবে এবং ভবিষ্যৎ দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে অবদান রাখবে।