তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ভাঙন পরিদর্শনে এলজিইডি

বাসস
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:০৬ আপডেট: : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:২৩
দ্বিতীয় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধ ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃপক্ষ। ছবি: বাসস

।। রেজাউল করিম মানিক।।

রংপুর, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): জেলার গঙ্গাচড়ায় পানির তোড়ে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের প্রায় ৮০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃপক্ষ। এলজিইডি ঢাকার রিভার ট্রেনিং ইঞ্জিনিয়ার কনসালটেন্ট প্রকৌশলী ড. লুৎফর রহমান এ পরিদর্শন পরিচালনা করেন। 

স্থানীয়রা জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। প্রবল স্রোতে কয়েকদিন ধরে ভাঙন অব্যাহত থাকলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ঢাকা থেকে এলজিইডি টিম পরিদর্শন করার পর এলাকাবাসীর মনে নতুন শংকা তৈরি হয়েছে। তারা বলেন, বর্তমান অবস্থায় ভাঙন রোধের কাজ শুরু করলে বাঁধের আরও বেশকিছু অংশ ভেঙে যেতে পারে।

স্থানীয় লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের মহিপুর এলাকার বাসিন্দা মনতাজ মিয়া বলেন, ‘আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ এসে পরিদর্শন করল ঠিকই, কিন্তু কবে কাজ শুরু করবে তা জানি না। আমরা চাই দ্রুত এখানে ভাঙনরোধের কাজ শুরু হোক। না হলে তিস্তা সেতুও হুমকির মুখে পড়বে।’

লক্ষ্মিটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, বাঁধ ভাঙনের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্তৃপক্ষ এলজিইডিকে জানানো হয়েছে। তারা জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার কথা বলেছে। এর আগে বাঁধ যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তখন এলজিইডিকে জানালে নির্বাহী প্রকৌশলী সরেজমিনে পরিদর্শন করে তা মেরামতের আশ্বাস দেন। কিন্তু পরবর্তীতে কোনো কাজ করেনি। ফলে আজ বাঁধের বড় অংশ ভেঙে গেছে। যেহেতু উজান থেকে পানি হু হু করে ঢুকছে, তাই পানির স্রোতে পুরো বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এতে করে তিস্তা সেতু, রংপুর-লালমনিরহাট সড়ক, শংকরদহ, ইছলীসহ কয়েকটি চরগ্রাম ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

এলজিইডি রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা বাসসকে বলেন, আমাদের ঢাকা থেকে কারিগরি টিম এসেছে। তারা পরিদর্শন করে রিপোর্ট প্রদান করলে সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে।

এলজিইডি ঢাকা অফিসের কর্মকর্তা রিভার ট্রেনিং ইঞ্জিনিয়ার কনসালটেন্ট প্রকৌশলী ড. লুৎফর রহমান বলেন, নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সংকট মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, রংপুরের সঙ্গে লালমনিরহাটের যোগাযোগ সহজ করতে ২০১৮ সালে এলজিইডি ১৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে গঙ্গাচড়ার মহিপুরে তিস্তা নদীর ওপর দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ করে। চলতি বছরের আগস্ট মাসে উজানের ঢলের তীব্র স্রোত সরাসরি বাঁধে আঘাত হানে । এতে করে বাঁধের নিচের অংশের মাটি ভেসে গিয়ে ব্লকগুলো ধসে পড়ে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
জনপ্রশাসন বিষয়ক কমিটি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি
কুমিল্লায় ১৯ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ
গণভোট সংসদ নির্বাচনের পর হতে পারে : আহমেদ আজম খান
ইকুইটি সিকিউরিটিজ বিধি-২০২৫ খসড়া প্রকাশ: দুই সপ্তাহের মধ্যে মতামত দেয়ার আহ্বান
আগামী ১ নভেম্বর উদ্যাপিত হবে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস
যুক্তিবোধে উজ্জীবিত তরুন প্রজন্ম নেতৃত্ব দিবে আগামীর বাংলাদেশ : চসিক মেয়র
প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যরা স্থানীয় উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখছেন: ডিজি
নীতিনির্ধারণে নমনীয়তা ও নাগরিক দায়িত্বের ওপর প্রধান উপদেষ্টার গুরুত্বারোপ
অনলাইনে রিটার্ন দাখিলে অক্ষম করদাতাদের আবেদনের সময়সীমা বাড়ালো এনবিআর
১৫ নভেম্বর থেকে মহানগর ও বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিটে নতুন পোশাক
১০