১৯০ কোটি টাকা আত্মসাত, ৭ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বাসস
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:১৪

চট্টগ্রাম, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : নিয়ম না মেনে ঋণ বিতরণ করে সুদে-আসলে প্রায় ১৯০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের সাত কর্মকর্তাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঋণগ্রহীতা ও জামানত প্রদানকারী হিসেবে নুরজাহান গ্রুপের তিন কর্ণধারসহ চারজনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ জালাল সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১-এ মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় অগ্রণী ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- নগরীর আছাদগঞ্জ শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মোস্তাক আহমেদ, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় অঞ্চলের সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আবুল হোসেন তালুকদার, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, সিলেট সার্কেলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক তাজরীনা ফেরদৌসি, প্রধান শাখার সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মোফাজ্জল হোসেন এবং অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ আব্দুল হামিদ।

আরও যাঁরা আসামি হয়েছেন, তারা হলেন- চট্টগ্রাম নগরীর আছাদগঞ্জের ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান মেসার্স মিজান ট্রেডিংয়ের মালিক মো. মিজানুর রহমান এবং নুরজাহান গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মেসার্স জাসমীর ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের পরিচালক জহির আহমেদ, টিপু সুলতান ও ফরহাদ মনোয়ার।

দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ব্যাংকের পরীক্ষিত গ্রাহক না হওয়া সত্ত্বেও মিজানুর রহমানকে ঊর্ধ্বতন পাঁচ কর্মকর্তার সুপারিশে প্রথম ঋণের আবেদন মঞ্জুর করা হয়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। সহজে নগদায়নযোগ্য তরল সম্পদ কিংবা শহরে ঋণের বিপরীতে দ্বিগুণ মূল্যের সম্পত্তি জামানত হিসেবে রাখার নিয়মও উপেক্ষা করে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ঋণ দেওয়া হয়, যা আর ব্যাংকে ফেরত আসেনি।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১০ সালে মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের মালিক মিজানুর রহমান অগ্রণী ব্যাংকের আছাদগঞ্জ শাখায় ছোলা ও গম আমদানির জন্য দুটি পৃথক ঋণপত্র খোলেন। এ ঋণপত্রের বিপরীতে তাকে ১৭টি শর্তসাপেক্ষে ১২৬ কোটি ১১ লাখ ৫২ হাজার টাকা ঋণ প্রদানের অনুমোদন দেয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। ২০১১ সালে দুটি ঋণপত্রের বিপরীতে তাকে ১২০ দিনের মধ্যে ফেরতযোগ্য মোট ৫১ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়।

কিন্তু ঋণ পরিশোধ না করায় ২০১২ সালের ৩১ মার্চ সেটি পুনঃতপশীল করা হয়। ঋণের আবেদনে মিজানুর রহমানের জামিনদার ছিলেন নুরজাহান গ্রুপের তিন কর্ণধার। পরবর্তীতে ঋণ পরিশোধ না করায় জামিনদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স জাসমীর ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের পরিচালক জহির আহমেদকে ঋণ হিসেব পরিচালনার জন্য মনোনীত করা হয়। কিন্তু সেই ৫১ কোটি টাকার ঋণ, যা সুদে-আসলে গিয়ে দাঁড়ায় ১৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা, তা আর পরিশোধ করা হয়নি।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করল কানাডা
ড্যাপ সংশোধন ও ঢাকা মহানগর ভবন নির্মাণ বিধিমালা-২০২৫ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন
জুলাই সনদ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুণগত পরিবর্তনের সূচনা: মান্না
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট আঙ্গিনায় ফিরছে আফগানিস্তান
দক্ষিণ আফ্রিকাকে দ্বিতীয়বার হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য পাকিস্তানের
সিলেটে ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত
ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ের নীতিমালা প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি : চসিক মেয়র
চাঁদপুরে মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রির দায়ে জরিমানা
শেষ দিন হ্যাটট্রিক করে এমএলএস গোল্ডেন বুট জয় করলেন মেসি
পিরোজপুরে বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা, সিলগালা
১০