৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিন মেঘনায় মাছ ধরা বন্ধ

বাসস
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:৩৮ আপডেট: : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:১০
মা ইলিশ রক্ষায় আগামী ২২ দিন লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ। ছবি: বাসস

আব্বাছ হোসেন

লক্ষ্মীপুর, ২ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় আগামী শনিবার মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত ২২ দিন লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই সময়ে জেলেরা প্রত্যেকে ভিজিএফের চাল পাবেন ২৫ কেজি করে। 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে মৎস্য বিভাগ, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে প্রতিদিন নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এরপরও যারা আইন অমান্য করে নদীতে যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত বছরের অভিযান সফল হওয়ায় মাছের উৎপাদন বেড়েছে। এবারও অভিযান সফল হলে অধিক পরিমাণ ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর জেলায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ হাজার ৩০০ জেলে নিবন্ধিত রয়েছেন। এসব জেলে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় ৪ অক্টোবর শনিবার মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত  ২২দিন মেঘনা নদীতে সকল ধরনের জাল ফেলা ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। এই একশ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময় এসব এলাকায় সব রকমের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও মজুদকরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। জেলেদের সচেতন করতে নদী এবং উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং ও পোস্টারিংসহ সকল ধরনের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য বিভাগ। নিষেধাজ্ঞার সময় প্রতি জেলেকে ২৫ কেজি করে খাদ্য সরবরাহ করা হবে। এবার ইলিশের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ হাজার ৫০০ টন।

মজু চৌধুরীর হাট ঘাট এলাকার জেলে কালাম মাঝি ও রহিম উল্যাহ বলেন, জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় এবং উৎপাদন বাড়াতে সরকার যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেটা মেনে জেলেরা নদীতে যাবে না। তবে জেলেদের পুর্নবাসন করার কথা সেটা এখন পর্যন্ত হয়নি। জেলার প্রত্যেক জেলে সরকারি সহায়তা পাবে সেটাই প্রত্যাশা তাদের। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের জন্য বরাদ্ধকৃত চাল সঠিক তালিকা তৈরি করে দ্রুত বণ্টনের  দাবি জানান তারা। 

জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার বলেন, ইতোমধ্যে বরাদ্ধকৃত ভিজিএফের চাল জেলেদের মধ্যে বিতরণ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। কেউ বাদ যাবে না। 

তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা মেনে জেলেরা নদীতে যাবে না বলে আশা করি। যারা আইন অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জেল-জরিমানা করা হবে। এটি বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
এগিয়ে থেকেও পিএসজির কাছে পরাজিত বার্সেলোনা, মোনাকোর সাথে পয়েন্ট হারিয়েছে সিটি
কলম্বিয়ায় ইসরাইলি কূটনীতিকদের বহিষ্কার
পটুয়াখালীতে মণ্ডপ পরিদর্শনে বিএনপি নেতা মুনির হোসেন
শ্রীপুরের প্রহলাদপুরে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে বিএনপি নেতৃবৃন্দ
কাপ্তাই হ্রদে নৌকাডুবির ঘটনায় সেনাবাহিনীর উদ্ধার অভিযান
পিরোজপুরে জেলা প্রশাসকের মণ্ডপ পরিদর্শন ও উপহার প্রদান
কুয়াকাটায় মতবিনিময় সভা করলেন প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান
বাগেরহাটে দেবী দুর্গার বিদায়ে ভক্তদের চোখে জল
নিম্নচাপে বিপর্যস্ত কুয়াকাটা, পর্যটকরা হোটেলবন্দী
তরুণ প্রজন্মই বিএনপির আগামীর প্রধান শক্তি : ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস 
১০