ঢাকা, ৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের তৃতীয় সভা আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টার সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পেনশন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
অর্থ বিভাগের সচিব এবং পেনশন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন খান আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় নিম্নলিখিত বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় :
১. ২০২৪ু২৫ অর্থবছরের মুনাফা ঘোষণা: সভায় জানানো হয় যে, ৩০ জুন ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত সর্বমোট ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯৮৭ জন চাঁদাদাতার মাসিক চাঁদা এবং ২০২৩ু২৪ অর্থবছরের প্রারম্ভিক স্থিতিসহ মোট জমাকৃত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮৭ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার ৫৪ টাকা ১৫ পয়সা।
জমাকৃত অর্থের ২০২৪ু২৫ অর্থবছরের মুনাফার পরিমাণ ১৬ কোটি ৩৩ লাখ ৪ হাজার ২৩ টাকা ৭৭ পয়সা।
পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ায় বিনিয়োগ সময়কালের ভিত্তিতে হিস্যা অনুযায়ী প্রাপ্য বিনিয়োগ মুনাফা বিনিয়োগকারীদের পেনশন হিসেবে প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
চাঁদাদাতারা তাদের পেনশন আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে প্রাপ্ত মুনাফার পরিমাণ দেখতে পারবেন।
২০২৪ু২৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ মুনাফা প্রাপ্তির হার ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
২. সুরক্ষা স্কিমে চাঁদার হার বৃদ্ধি: সুরক্ষা স্কিমটি স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য। এই ক্যাটাগরিতে যেমন নিম্ন আয়ের লোক রয়েছেন, তেমনি উচ্চ আয়ের লোকও রয়েছেন।
বর্তমানে এ স্কিমে সর্বোচ্চ চাঁদার হার পাঁচ হাজার টাকা।
উচ্চ আয়ের স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে প্রগতি পেনশন স্কিমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সুরক্ষা স্কিমে সর্বোচ্চ জমার হার ১৫ হাজার টাকা নির্ধারণের বিষয়টি পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।
৩. আউটসোর্সিং সেবাকর্মীদের পেনশন স্কিমে সম্পৃক্তকরণ: অর্থ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত ‘আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবাগ্রহণ নীতিমালা, ২০২৫’-এর আওতায় আউটসোর্সিং সেবাকর্মীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে।
তারা প্রগতি স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
যদিও প্রগতি স্কিমের সর্বনিম্ন মাসিক চাঁদার হার এক হাজার টাকা, আউটসোর্সিং সেবাকর্মীদের জন্য এটি সহনীয় করার লক্ষ্যে তাদের জন্য সর্বনিম্ন হার ৫০০ টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সামর্থ্য অনুযায়ী তারা উচ্চতর সীমায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এই স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য মাসিক চাঁদার সম্পূর্ণ অংশ সেবাকর্মী নিজেই বহন করবেন; প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোনো অবদান থাকবে না।
৪. সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ইসলামিক ভার্সন চালু: সভায় ইসলামিক ভার্সন চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়।
বেস্ট প্র্যাকটিসসমূহ পর্যালোচনা করে ধারণাপত্র তৈরির কাজ সম্পন্ন করে ইসলামিক ভার্সন চালুর উদ্যোগ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
৫. পেনশন স্কিমে বীমা সুবিধা চালু: সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বীমা সুবিধা চালুর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে।
অ্যাকচুয়ারি বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ধারণাপত্র তৈরির কাজ জরুরি ভিত্তিতে সম্পন্ন করার জন্য পরিচালনা পর্ষদ জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিয়েছে।