নাটোর, ৭ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : ইউনিসেফের জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী আগামী ২০২৯ সালে বাংলাদেশ প্রবীণপ্রবণ সমাজে পদার্পণ করবে। ধীরে ধীরে ১৪ শতাংশ প্রবীণ জনগোষ্ঠি নিয়ে ২০৪৭ সালে বাংলাদেশ প্রবীণপ্রধান দেশে পরিণত হবে। সমাজসেবা অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রবীণ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা জানান।
উপ পরিচালক আরো বলেন, বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার সাত শতাংশ বা এক কোটি ২০ লাখ মানুষের বয়স ৬৫ বছর বা তার বেশী। মর্যাদাপূর্ণ বার্ধক্যের প্রত্যাশায় জেলায় আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন।
‘একদিন তুমি পৃথিবী গড়েছো, আজ আমি স্বপ্ন গড়বো, সযত্নে তোমায় রাখবো আগলে’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য বিষয়ে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সমাজসেবা অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক।
তিনি বলেন, সংবিধানের ১৫ (ঘ) অনুচ্ছেদে ক্রমবর্ধমান প্রবীণ জনগোষ্ঠির জন্য একটি শক্তিশালী যত্ন ও পরিচর্যা কাঠামো গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। প্রবীণদের মর্যাদাসম্পন্ন, দারিদ্রতামুক্ত, কর্মময়, সুস্থ্য ও নিরাপদ পারিবারিক ও সামাজিক জীবন নিশ্চিত করতে ‘জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা ও পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন’ প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকার প্রবীণদের জন্য আটটি প্রবীণ নিবাস স্থাপন করেছে, প্রদান করা হচ্ছে বয়স্ক ভাতা। প্রবীণ-বান্ধব সমাজ গঠনে সরকার তৎপর রয়েছে।
মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে ২০২০ সালে নাটোর জেলায় ৬২ বছর বয়স উর্ধ নারী ও ৬৫ বছর উর্ধ পুরুষের মোট সংখ্যা এক লাখ ৩১ হাজার ৪৭৩ জন। বর্তমানে বয়স্ক ভাতা গ্রহীতার সংখ্যা ৬৬ হার ৮৮৮ জন।
এরআগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে বের হওয়া শোভাযাত্রা কালেক্টরেট ভবন চত্বর প্রদক্ষিণ করে।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, প্রবীণের অভিজ্ঞতার আলোকে তারুণ্যের উদ্যমকে সঠিক পথে পরিচালনার মাধ্যমেই দেশের উন্নয়ন তরান্বিত হবে। সমন্বিত প্রচেষ্টায় সমৃদ্ধ হবে দেশ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আবুল হায়াত, প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সভাপতি এ্যাড. আব্দুল ওহাব, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘আলো’র নির্বাহী পরিচালক শামীমা লাইজু নীলা প্রমুখ।
এরআগে জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে বের হওয়া শোভাযাত্রা কালেক্টরেট ভবন চত্বর অতিক্রম করে। জেলা প্রশাসন, সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং প্রবীণ হিতৈষী সংঘ সমন্বিতভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।