শিরোনাম
ভোলা, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার শশীগঞ্জ মাছঘাটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৯টি মাছের আড়ত পুড়ে গেছে। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুন লাগতে পারে। খবর পেয়ে তজুমদ্দিন ও লালমোহনের ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সঠিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, রাতের আঁধারে হঠাৎ মাছের আড়তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ক্ষতিগ্রস্ত আড়তদাররা হলেন, কামাল উদ্দিন, জুলফিকার, সিরাজ মেম্বার, মাহিউদ্দিন, জামাল, কুটি, শাজাহান, হাজী হাফেজ, ফারুক, কবির সর্দার, জাকির, জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান, কিরণ চেয়ারম্যান, ইসতিয়াক হাসান, বেচু তালুকদার, মান্নান, হেলাল মেম্বার, আনোয়ার ও জাকির।
তজুমদ্দিন মৎস্যঘাটের আড়ত ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি কামাল উদ্দিন জানান, উপজেলার শশীগঞ্জ মাছঘাটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৯টি মাছের আড়ত পুড়ে গেছে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে এবং কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো সঠিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে আগুনে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তজুমদ্দিন ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. মুখলেসুর রহমান বাসসকে বলেন, আজ ভোর রাত ৫টা ৮ মিনিটে আমরা খবর পাই উপজেলার স্লুইসগেট মাছ ঘাটে আগুন লেগেছে। তাৎক্ষণিক আমরা একটি ইউনিট নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী উপজেলা লালমোহন থেকে আরো একটি ইউনিট এসে আমাদের সাথে যোগ দেয়। তখন দুইটি ইউনিটের সমন্বয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে আজ সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম মোস্তফা মিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক ওমর আসাদ রিন্টু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
