বরিশাল, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী দিপাবলি উৎসব উপলক্ষে প্রদ্বীপের আলোয় আলোকিত হয়েছে বরিশাল নগরীর কাউনিয়ার মহাশ্মশান।
আজ রোববার প্রিয়জনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে দীপ জ্বেলে নানা উপাচার ও ফুল দিয়ে সমাধি সাজিয়ে প্রার্থনা করেন স্বজনরা। পরিবারের ছোট-বড় সবাই মহাশ্মশানে এসেছিলেন প্রিয়জনদের স্মরণ করতে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে মোমের আলোয় আলোকিত হয় পুরো এলাকা।
বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অসীম কুমার মুরালী জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস কালীপূজার আগের দিন ভূত চতুর্দশী তিথিতে পূজা অর্চনা করলে মৃত ব্যক্তির আত্মা শান্তি লাভ করে। তাই স্বজনহারা ব্যক্তিরা সমাধিবেদিতে প্রদীপ জ্বেলে সৃষ্টিকর্তার কাছে হারানো স্বজনদের জন্য স্বর্গীয় সুখের প্রার্থনা করেন।
তিনি জানান, প্রতিবছর ভূত চর্তুদশীর পূণ্য তিথিতে দু’শ বছরের প্রাচীন ও দেশের অন্যতম বৃহৎ এ মহাশ্মশানে দিপাবলি উৎসবের আয়োজন করা হয়। প্রতিবারের মতো এবারও এ দিপাবলি উৎসবে যোগদিতে দেশ-বিদেশ থকে হাজারো মানুষ এসেছিলেন।
পুরনো শ্মশানের অধিকাংশ সমাধি ধ্বংস হয়ে গেলেও এখনো সেখানে ব্রাহ্মদের ২/৩টি সমাধি রয়েছে। এ মহাশ্মশানে মৃত্যুর ৮০ বছর পর ঠাঁই হয়েছে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের সমাধি। ২০১২ সালে ভারতের কেওড়া তলা মহাশশ্মান থেকে চিতাভস্ম এনে এ মহাশশ্মানে স্থাপন করা হয়েছে।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ বিল্পবী দেবেন ঘোষ, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী মনোরমা মাসিমা, শিক্ষাবিদ কালি চন্দ্র ঘোষসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সমাধি রয়েছে এ মহাশ্মশানে।
মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সদস্যরা জানান, নতুন পুরনো মিলিয়ে এখন মহাশশ্মানটিতে সমাধি প্রায় ৬০ হাজার।
এদিকে দিপাবলীকে ঘিরে মহাশ্মশান এলাকায় বসেছে দুইদিনের মেলা। রোববার পূজার মাধ্যমে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার কথা।
পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, দিপাবলি উৎসব ও কালীপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হতে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।