
রাজশাহী, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচনী তপসিল ঘোষণার পর রাজশাহীর বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। কারণ এই তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়েই কেটে গেছে নির্বাচন হবে কিনা সেই ধোঁয়াশা। আর এই তফসিল নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর দেশের শিক্ষানগরী হিসেবে পরিচিত রাজশাহীর রাজনৈতিক দলের সচেতন মানুষজন নিজ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য এবং রাজশাহী-২ (সদর) আসনের বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী জননেতা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, দীর্ঘ ১৭টি বছর ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা ও জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের আন্দোলন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। এই আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি’র হাজার হাজার নেতাকর্মী জেল, জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমি নিজেও ৭ বার গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে ৫৭টি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। এখনো ৫২টি মামলা চলমান রয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মীকে প্রাণ দিতে হয়েছে। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর ছাত্রদের কোটা আন্দোলনন ও গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। এরপর অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এখন দেশকে এই সরকার নির্বাচনমুখী করেছে। আমরা এই তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করছি একটি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।
বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত বলেন, গণতন্ত্র এবং মানুষের ভোটাধিকার ফেরাতে বিএনপি দীর্ঘ সময় আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। বিএনপি আগে থেকেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ছিল। তফসিল ঘোষণা হয়েছে। এখন দেখার বিষয় হলো, নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠ এবং গ্রহণযোগ্য হচ্ছে। মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে বাছাই করতে পারছে। সরকারের এই তফসিল ঘোষণা আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি।
রাজশাহী জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি গোলাম মুর্তজা বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। তবে আমরা মনে করেছিলাম, তফসিল ঘোষণার আগেই পরিবেশটা আরও ভালো এবং সুন্দর হবে। কিন্তু এখনো সেটি হয়নি। আমরা আশা করছি তফসিলের মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হবে। জনগণ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। এই পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হবে সরকার।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি পারভেজ তৌফিক জাহেদী বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণাকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি। আশা করছি, জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। এছাড়াও রাজশাহী মহানগরের সাধারণ জনগণ সরকারের নির্বাচনী তাফসিল ইতিবাচকভাবে দেখছেন বলে অনেকেই জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।