খুলনা, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মশার কয়েলের বিকল্প ‘বাজ শিল্ড’ উদ্ভাবন করে গ্রিন স্টার্ট-আপ সিড গ্রান্ট প্রতিযোগিতায় বিজয়ী টিম হিসেবে সেরা দশে স্থান করে নিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) এর শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (এফবিসিসিআই আইআরসি) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় সারাদেশ থেকে নির্বাচিত সেরা দশ দলের একটি হলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দলটি।
শিক্ষার্থীরা জানান, বর্তমানে খুলনা শহরে মশার উপদ্রব আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবছর ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত রোগে হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় প্রচলিত মশার কয়েল কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। এছাড়া কয়েল থেকে নির্গত ধোঁয়া মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হচ্ছে। এর বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত সমাধানমূলক পণ্য ‘বাজ শিল্ড’ উদ্ভাবন করা হয়েছে।
বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন; সয়েল, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিনের ২১ ব্যাচের নিশাত জাহান নাদীরা (সিইও), ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ২২ ব্যাচের মো. মুকাররম হোসেন (মার্কেটিং, ডকুমেন্টেশন অ্যান্ড সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার), পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের ২১ ব্যাচের মো. সৌরভ হোসেন (অ্যানালিটিকস অ্যান্ড ফিল্ড ম্যানেজার) এবং গণিত ডিসিপ্লিনের ২৩ ব্যাচের মেফাদুজ্জামান রাতুল (ফাইন্যান্স অ্যান্ড আইটি ম্যানেজার)।
গতকাল ৩১ আগস্ট বিজয়ী দলের সদস্যরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুধু অ্যাকাডেমিক পড়াশোনাতেই নয়, গবেষণা ও উদ্ভাবনী শক্তিতেও সারা দেশে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছে। এটি আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আজকের এই সাফল্য তাদের অধ্যবসায়, সৃজনশীলতা ও দায়িত্বশীলতার বহিঃপ্রকাশ। আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত ‘বাজ শিল্ড’ ভবিষ্যতে দেশের জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।