মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধে প্রস্তাব করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন

বাসস
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:০৬
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান ৫ ফেব্রুয়ারি বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেন। ছবি: Chief Adviser GOB

ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধে একটি বাস্তবানুগ আইন প্রণয়নে প্রস্তাব করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বুধবার হস্তান্তর করা হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংস্কার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। মোট ২৮ দফা প্রস্তাবের ২৫ নম্বরে রয়েছে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন সংক্রান্ত অংশটি।

মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধ বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধ বিষয়ে একটি বাস্তবানুগ আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে নিবিড় ও ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০ ধারার অনুরূপ একটি বিধান উক্ত কার্যবিধির ২৩ অধ্যায়ে (দায়রা আদালত কর্তৃক বিচার) সন্নিবেশ করা। ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০ ধারায় উল্লিখিত জরিমানা ও ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধিকরণ। মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা বলে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ থাকলে (বিশেষতঃ এজাহারে অস্বাভাবিক সংখ্যক অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম থাকলে), অপরাধ সংঘটনে কোনো আসামির সুনির্দিষ্ট কোনো ভূমিকার উল্লেখ এজাহারে না থাকলে সেই আসামিকে গ্রেফতার করা হবে না এই মর্মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পুলিশের প্রতি নির্দেশনা জারি।

প্রস্তাবে আরো বলা হয়েছে, মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা বলে সন্দেহ করা যায় এরূপ মামলায় কোনো আসামি পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হলে পাবলিক প্রসিকিউটর বা ক্ষেত্রমত, কোর্ট ইন্সপেক্টর বা কোর্ট সাব-ইন্সপেক্টর, আদালতে ওই আসামির জামিনের বিরোধীতা করবে না এই মর্মে আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক পাবলিক প্রসিকিউটরদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান।

কোন আইনজীবী বিচারিক কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করলে (যেমন, ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারার অধীনে ম্যাজিস্ট্রেট কোন কার্যধারা গ্রহণ করলে বা জামিনের আবেদন মঞ্জুর বা না-মঞ্জুর করলে আদালতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা, ম্যাজিস্ট্রেটকে হুমকি দেওয়া বা তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা, ইত্যাদি) তার বিরুদ্ধে পেশাগত আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে কার্যধারা সূচনা করা হবে এই মর্মে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক প্রতিটি বার এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে সব আইনজীবীকে সতর্ককরণ।

ইতোমধ্যে যে সব মামলা পুলিশ বা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দায়ের হয়েছে এবং তদন্তাধীন আছে সেগুলোর তদন্ত যাতে দ্রুত সম্পন্ন করে নিরাপরাধ ব্যক্তিদের ব্যাপারে ফাইনাল রিপোর্ট প্রদান করা হয় বা চার্জশিটে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার (নট সেন্ট আপ) আবেদন করা হয়, সে জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্দেশনা প্রদান।

উল্লেখিত দফার কার্যক্রম তদারকির জন্য প্রতি বিভাগে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করা যাতে কোনো প্রকৃত অপরাধী পুলিশের সঙ্গে যোগ-সাজশের মাধ্যমে মামলা থেকে অব্যাহতি না পায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ডিআর কঙ্গোতে নৌকায় আগুন, নিহত কমপক্ষে ১৪৩ জন
মেসি থেকে ট্রাম্প: এআই অ্যাকশন ফিগারের হিড়িক নেট দুনিয়ায়
একমাত্র মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যৎ চান শহীদ জাকিরের স্ত্রী সালমা
শিশুর বামনত্ব : চ্যালেঞ্জ ও মোকাবিলার উপায়
শহীদ জাহাঙ্গীরের স্মৃতি বুকে নিয়ে দিন কাটে মেয়ে সিনথিয়ার
স্বপ্ন-সাধ তুচ্ছ করে দেশের জন্য জীবন দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শহীদ শ্রাবণ
দিনাজপুরে ভবেশের মৃত্যুর ঘটনায় ভারতের দেয়া বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করলো বাংলাদেশ
গাজীপুর সাফারী পার্ক থেকে বিপন্ন বন্যপ্রাণী লেমুর চুরির ঘটনায় একজন গ্রেফতার 
সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়ন করতে গেলে আলাদা বেতন কাঠামো প্রয়োজন : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে বিএনপির অভিনন্দন
১০