ঢাকা, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বার্ষিক মহড়া ‘আকাশ বিজয়-২০২৫’ দেশের সকল প্রধান ঘাঁটি, বিভিন্ন স্টেশন ও ইউনিটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ এ কথা জানিয়েছে।
এতে জানানো হয়, মহড়ার উল্লেখযোগ্য অংশ হিসেবে বিমানবাহিনীর বৈমানিকগণ আকাশ যুদ্ধের বিভিন্ন প্রকার রণকৌশল অনুসরণ করে যুদ্ধ বিমানের মাধ্যমে আক্রমণ, শত্রুবিমান শনাক্তকরণ, আকাশ থেকে শত্রু কবলিত স্থান পর্যবেক্ষণ, রসদ সরবরাহ, সৈন্য ও যুদ্ধাস্ত্র স্থানান্তর, স্পেশাল অপারেশন, অনুসন্ধান ও উদ্ধারসহ সকল ধরনের অপারেশন পরিচালনা করছে।
মহড়ার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে সম্মানিত বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন আজ রোববার এয়ার কমান্ড অপারেশন সেন্টার (এসিওসি), এয়ার ডিফেন্স অপারেশন সেন্টার (এডিওসি), বিমানবাহিনী ঘাঁটি বাশার, বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার, বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক ও বিমানবাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানে বিভিন্ন প্রকার বিমানের মহড়া এবং অন্যান্য অপারেশনাল ও মেইনটেন্যান্স কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
‘আকাশ বিজয়-২০২৫’ বিমানবাহিনীর সকল প্রধান ঘাঁটিসহ সিলেট, লালমনিরহাট, শমশেরনগর, বগুড়া, বরিশাল, রসুলপুর ও সুধারামে অবস্থিত বিভিন্ন স্টেশন ও ইউনিট সমূহ হতে সারা বাংলাদেশে গত ২৩ এপ্রিল হতে পরিচালিত হচ্ছে এবং ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।
এ মহড়ায় বিমানবাহিনীর সকল প্রকার যুদ্ধ ও পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার ইউনিট, রাডার ইউনিট, মিসাইল ইউনিট এবং আনম্যান্ড এরিয়াল সিস্টেম ইউনিট সর্বাত্মকভাবে অংশগ্রহণ করছে।
এই মহড়ায় বিমানবাহিনীর বিভিন্ন রাডার স্কোয়াড্রনের মাধ্যমে শত্রুপক্ষের আক্রমণকে চিহ্নিত করে নিজ বাহিনীর যুদ্ধ বিমান ও মিসাইল ইউনিটের সহায়তায় উক্ত আক্রমণকে প্রতিহত করার কৌশল অনুশীলন করা হচ্ছে।
আকাশ যুদ্ধ ছাড়াও ভূমিতে ঘাঁটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট সকল কৌশল অনুশীলন করা হচ্ছে। বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও কমান্ডো দলের কমব্যাট সার্চ এন্ড রেসকিউ (সিএসএআর) অপারেশন, পরিবহন বিমান দিয়ে জরুরি রসদ স্থানান্তর, বিমানবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সহায়তায় বোমা অথবা বিস্ফোরক দ্রব্য শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয়করণের কার্যক্ষমতা যাচাই এবং স্ক্র্যাম্বলের মাধ্যমে আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী শত্রু বিমানকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে এয়ার ডিফেন্স অ্যালার্ট (এডিএ)- এ কর্তব্যরত যুদ্ধ বিমানকে ব্যবহার করা, ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি এবং সময় সংবেদনশীল টার্গেটে আক্রমণ ইত্যাদি অনুশীলন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, এ মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর শক্তিমত্তা যাচাই এবং বিদ্যমান সমরাস্ত্রের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করে এর দুর্বল দিকসমূহ নির্ণয় করে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হবে।
এ সকল গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে আরো উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।