আওয়ামী লীগ নেতা রানার অপহরণের বিবরণ ভিত্তিহীন : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

বাসস
প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ০০:৫২

ঢাকা, ২০ মে, ২০২৫ (বাসস) : আওয়ামী লীগ নেতা নির্মলেন্দু দাস রানার অপহরণের বিবরণ, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল, তা ভিত্তিহীন, মঙ্গলবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একথা বলেছে।

প্রেস উইং তাদের যাচাইকৃত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট-সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস-এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছে "নির্মলেন্দু দাস রানা নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার গ্রেপ্তার ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা দাবি প্রচারিত হচ্ছিল,"। 

১৮ মে এক্স এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আওয়ামী লগের সাথে যুক্ত বেশ কয়েকটি পোস্টে চাঞ্চল্যকর এ দাবি প্রচার শুরু হয়। এতে বলা হয় সিলেটের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাও ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু দাস রানাকে (৪৫) জামাত-শিবিরের ক্যাডাররা অপহরণ করেছে।

কিছু কিছু প্রতিবেদনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে নীরব থাকার অভিযোগ করেছে। ইসলামী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী এবং এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রতি তার সমর্থনের ইঙ্গিতও দিয়েছে।

 বিবৃতিতে বলা হয়, তদন্তে জানা গেছে, দাবিগুলি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রানাকে কেউ অপহরণ করেনি, বরং সিলেট শহরের একটি বাজারে তাকে ঘুরে বেড়াতে দেখে স্থানীয় কিছু লোক তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে,।

এতে আরো বলা হয়,"নির্মলেন্দু দাস রানা ইতিমধ্যেই একাধিক ফৌজদারি মামলার পলাতক আসামি ছিলেন। রাজনৈতিক বিরোধীদের দ্বারা আয়োজিত একটি সমাবেশে হামলার জন্য ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে দায়ের করা মামলায় তিনি প্রধান সন্দেহভাজন ছিলেন"।

প্রেস উইং জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিদ্রোহের সময় ছাত্রদের উপর হামলার জন্যও রানার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।

সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় রানা তার এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে অনিয়ম ও দুর্নীতির একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি বেপরোয়া এবং নিয়ন্ত্রণহীন ছিলেন।

বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০২১ সালে রানাকে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইউনিয়ন কর তহবিল থেকে ১৯.০৮ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগও তার বিরুদ্ধে ছিল।

১৭ মে রাতে, সিলেট শহরের একটি বাজারে স্থানীয়রা রানাকে চিনতে পারে এবং সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তরের আগে তাকে লাঞ্ছিত করে।

"সুতরাং, রানার অপহরণের বর্ণনা ভিত্তিহীন," বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের সাঁড়াশি অভিযান ৬৫ জন গ্রেফতার
আওয়ামী লীগ নেতা রানার অপহরণের বিবরণ ভিত্তিহীন : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
বিশেষ অভিযানে ১৯ জন গ্রেফতার 
ভোলাগঞ্জে পাথর লুটপাটে জড়িত ১৪ জনের কারাদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে ৩ ব্যক্তির মৃত্যু
সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলায় ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
নির্বাচন কমিশনের সামনে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশ কাল
টিএনজেড ও মাহমুদ গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করে শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করা হবে : শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা
৪৩তম বিসিএসে ১৬২ জনকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি  
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত নরওয়ের
১০