গবাদি পশুর রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

বাসস
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ১৪:৩৭ আপডেট: : ২৮ জুন ২০২৫, ১৪:৪৮
শনিবার মানিকগঞ্জ পৌরসভার জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে নির্বাচিত চারটি জেলায় গবাদিপশুর ক্ষুরারোগের টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা । ছবি : বাসস

ঢাকা, ২৮ জুন, ২০২৫ (বাসস) : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গবাদি পশুর রোগ প্রতিরোধে সময় মতো ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘গবাদিপশু পালনের ক্ষেত্রে রোগ নিয়ন্ত্রণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গবাদিপশু যাতে রোগে আক্রান্ত না হয়, এ লক্ষ্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়।’ 

আজ সকালে মানিকগঞ্জ পৌরসভার জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে নির্বাচিত চারটি জেলায় গবাদিপশুর ক্ষুরারোগের টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা একথা বলেন। 

ফরিদা আখতার আরো বলেন, শুধু মাংস উৎপাদন বা রপ্তানির জন্য নয়, পশুর স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্যই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে  উপদেষ্টা বলেন, ভ্যাকসিন যেন নির্দিষ্ট সময়েই দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি খামারিদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে আপনাদের সব সময় সচেষ্ট থাকতে হবে। 

এলএসডি’র জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন দেশে উৎপাদনের চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকেই এ রোগে আক্রান্ত গরু কোরবানির হাটে এসেছে বলে দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে এ ধরণের গরু হাটে আসেনি।

দুধের ন্যায্য দাম না পাওয়ার বিষয়ে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, গরুর দুধের সঠিক দাম না পাওয়ার কারণে খামারিরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই চিলিং সেন্টার স্থাপন করা জরুরি। যে অর্থ দিয়ে বিদেশ থেকে গুড়া দুধ আমদানি করা হয়, তা দেশের চিলিং সেন্টার স্থাপনে ব্যয় করলে খামারিরা উপকৃত হতেন। 

তিনি আরও বলেন, গুড়া দুধ আমদানি আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। 

এ খাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে খামারিদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পের সফলতা খামারিদের সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল। 

তিনি আরও বলেন, খামারিদের উৎপাদনই দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে ও অর্থনীতিকে শক্ত ভিত্তি দিচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন- মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা, পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াছমিন খাতুন ও অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. বয়জার রহমান।

পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ডা. অমর জ্যোতি চাকমা। 

এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মজিবুর রহমান। 

সুফল ভোগীদের পক্ষে বক্তৃতা করেন সেবিকা মন্ডল, আতাউর রহমান। 

এ সময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, গবাদিপশু খামারিরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় গরু-মহিষের ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রকল্পভুক্ত নির্বাচিত চারটি জেলায় (মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও ভোলা) আজ সকালে টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
জনপ্রশাসন বিষয়ক কমিটি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি
কুমিল্লায় ১৯ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ
গণভোট সংসদ নির্বাচনের পর হতে পারে : আহমেদ আজম খান
ইকুইটি সিকিউরিটিজ বিধি-২০২৫ খসড়া প্রকাশ: দুই সপ্তাহের মধ্যে মতামত দেয়ার আহ্বান
আগামী ১ নভেম্বর উদ্যাপিত হবে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস
যুক্তিবোধে উজ্জীবিত তরুন প্রজন্ম নেতৃত্ব দিবে আগামীর বাংলাদেশ : চসিক মেয়র
প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যরা স্থানীয় উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখছেন: ডিজি
নীতিনির্ধারণে নমনীয়তা ও নাগরিক দায়িত্বের ওপর প্রধান উপদেষ্টার গুরুত্বারোপ
অনলাইনে রিটার্ন দাখিলে অক্ষম করদাতাদের আবেদনের সময়সীমা বাড়ালো এনবিআর
১৫ নভেম্বর থেকে মহানগর ও বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিটে নতুন পোশাক
১০