ঢাকা, ৩০ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের পর সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চারটি রপ্তানি নির্ভর খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে সরকার।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য এবং ফার্মাসিউটিক্যালস খাতের রপ্তানি সক্ষমতা কীভাবে বাড়ানো যায়, তা পর্যালোচনার জন্য ১৬ সদস্যের এ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে অর্থ বিভাগ।
২৯ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, আগামী ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের পর রপ্তানি নির্ভর সাবসিডি বা নগদ সহায়তা প্রদান করা সম্ভব হবে না।
এই প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে, সম্ভাবনাময় এই ৪টি খাতের রপ্তানি সক্ষমতা বাড়াতে কী কী করা যেতে পারে তা পর্যালোচনা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী অর্থ বিভাগ থেকে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয় বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কমিটির কার্যবিধিতে বলা হয়েছে: প্রতিবেদনে উল্লেখিত সুপারিশসমূহ থেকে সরকারের সক্ষমতা বিবেচনায় কোন কোন সুবিধা প্রদান করা যায় তা নির্ধারণ, এসব সুবিধাসমূহ প্রদানের জন্য সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সংস্থাগুলোর গ্রহণ করা কার্যক্রম নিয়মিত পর্যালোচনা, মূল্যায়ন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্যক্রম বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, কমিটি প্রয়োজনে প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত সুপারিশ ছাড়াও বাস্তবতা ও প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় অন্য যেকোনো উপযুক্ত সুবিধা প্রদানের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবে, কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্যকে কো-অপ্ট করতে পারবে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ সচিব, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, শিল্প সচিব, কৃষি সচিব, বস্ত্র ও পাট সচিব, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিএসটিআই মহাপরিচালক, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিসিক চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআই সভাপতি। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক।