নোট অব ডিসেন্ট সত্ত্বেও সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে সিদ্ধান্ত: অধ্যাপক আলী রীয়াজ

বাসস
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৫, ২৩:১৫
জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ২২তম দিনের আলোচনায় বক্তৃতা করেন। ছবি : বাসস

ঢাকা, ৩০ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নোট অব ডিসেন্ট দেয়া সত্ত্বেও একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ একথা জানিয়েছেন ।

আজ দুপুর ২টা থেকে শুরু হওয়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ২২তম দিনের আলোচনার শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ক্রমান্বয়ে ১০০ আসনে উন্নীত করা হবে, এ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত। তবে, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে এবং কোনো কোনো দল সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের পক্ষে।

তিনি বলেন, অবিলম্বে আশু পদক্ষেপ হিসেবে সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব যাতে বৃদ্ধি করা যায় সেজন্য কতগুলো বিষয়ে কিছু রাজনৈতিক দলের নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) সত্ত্বেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পেরেছি।

সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি করতে যে আশু পদক্ষেপ রাখা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে আছে বিদ্যমান সংরক্ষিত ৫০টি আসন বহাল রেখে সংবিধানের ৬৫(৩) অনুচ্ছেদের প্রয়োজনীয় সংশোধন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে তিনশত আসনের জন্য ন্যূনতম ৫ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার আহ্বান জানানো এবং পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো ১০ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে৷ এই পদ্ধতিতে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়নের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটা সাধারণ নির্বাচনে ন্যূনতম ৫ শতাংশ বর্ধিত হারে নারী প্রার্থী মনোনয়ন অব্যাহত রাখা।

সংবিধানে সপ্তদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২৫ বছর বৃদ্ধি করা হয়, হিসাব অনুযায়ী তা ২০৪৩ সাল পর্যন্ত বহাল থাকবে৷ তবে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থিতার লক্ষ্য ২০৪৩ সালের পূর্বেই যদি অর্জিত হয় তাহলে সপ্তদশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রবর্তিত বিধান নির্ধারিত সময়ের আগেই বাতিল হয়ে যাবে।

এছাড়াও আলী রীয়াজ জানান, ক্ষমতার ভারসাম্যের জন্যে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি করতে সংবিধানের ৪৮ (৩) অনুচ্ছেদ সংশোধনপূর্বক কিছু প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোকে আজ দেয়া হয়েছে৷ এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছালে সংবিধান ও আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনয়নের বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আজ এ আলোচনায় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
করোনায় আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩
আগস্টেই চালু হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন : বিপিসি
টাকা আত্মসাৎ করায় সাবেক ভূমিমন্ত্রীসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু ২, আক্রান্ত ২৭৮
জুলাই মাসের ৩০ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি 
বিগত এক বছরে আইন মন্ত্রণালয়ের সাফল্য ও সংস্কার কার্যক্রম
ময়মনসিংহে অভিনব কায়দায় ৪ লাখ টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ১
জাফলংয়ে বালুবোঝাই নৌকা ও ড্রেজার মেশিন ধ্বংস
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে ক্যাপস্টোন কোর্স ২০২৫/২ সমাপ্ত 
আন্দোলনে কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল অতুলনীয় : বাঁধন
১০