ফেনী, ১৩ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): ভূমি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, ‘শতকরা ৯০ ভাগ বিরোধের উৎস ভূমি। অটোমেটেড ভূমি সেবা সিস্টেম চালু হলে জনভোগান্তি কমে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘ভূমি বিষয়ে ডিজিটাল হয়ে গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে- এটা বলা যাবে না। মেশিনের পেছনে যে মানুষটা কাজ করে, তিনি যদি ভুল করেন তাহলে জটিলতা কমবে কীভাবে? তাই সব নাগরিককে সচেতন ও নজরদারি রাখতে হবে। যারা ভাল কাজ করবে তাদের সাপোর্ট দেবেন, আর যারা করবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।’
আজ বুধবার দুপুরে ফেনী জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে ‘অটোমেটেড ভূমি সেবা সিস্টেমে তথ্য সন্নিবেশ ও সংশোধন সংক্রান্ত কর্মশালা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অটোমেটেড ভূমি সেবা সিস্টেম প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এজন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএনডিপি আমাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে, এটা ভালো কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ফেনী একটি গৌরব জনক জনপদ, তাই এই সিস্টেম চালু করতে ফেনীকে পাইলটিং প্রজেক্টের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ সিস্টেম চালু হলে ফেনী আরো আলোকিত হবে।’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএনডিপি, বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার। জেলা প্রশাসন, ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প, ভূমি মন্ত্রণালয় ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে এই কর্মশালায় আলোচক ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, যুগ্ম সচিব মো. পারভেজ হাসান।
স্বাগত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ফেনী জেলাকে এই প্রকল্পের পাইলটিং এ অন্তর্ভুক্ত করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্প সফল করার জন্য আমরা সবাই মিলে কাজ করব।’
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফাহমিদা হক, নোয়াখালী অঞ্চলের ভূমি বিষয়ক সার্চ অফিসার সারওয়ার উদ্দিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মুফতি আবদুল হান্নান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা নাসরিন কান্তা, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজিব তালুকদার, জিপি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল আমিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব ও সাংবাদিক আবু তাহের প্রমুখ।
জেলার ভূমি বিভাগ, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক,সামাজিক, ছাত্র ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা কর্মশালায় অংশ নেন।