নতুন নীতিমালায় স্টারলিংক লাইসেন্স সুবিধা, দুর্গম অঞ্চলে সেবা সম্প্রসারণের উদ্যোগ

বাসস
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:১৮ আপডেট: : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:২১
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ‘টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক অ্যান্ড লাইসেন্সিং পলিসি ২০২৫’ অনুমোদন দেওয়া হয়। ছবি: পিআইডি

ঢাকা, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): সরকারের টেলিযোগাযোগ নীতিমালা ২০২৫-এর আওতায় স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবার জন্য বিশেষ লাইসেন্স সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। এই নীতিমালার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক এসএমএস গেটওয়ে এবং স্যাটেলাইট সেবা প্রদানকারীরা ইন্টারন্যাশনাল কানেক্টিভিটি সার্ভিস প্রোভাইডার (আইসিএসপি) লেয়ারে লাইসেন্স গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক কানেক্টিভিটি ও সেবা প্রদানে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।

আজ উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ‘টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক অ্যান্ড লাইসেন্সিং পলিসি ২০২৫’ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।

সভা শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, নতুন এ নীতিমালার ফলে বিদ্যমান লাইসেন্সিং ব্যবস্থায় থাকা মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যের পরিবর্তে নতুন একটি লাইসেন্সিং ব্যবস্থা, দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে মানসম্মত সেবার নিশ্চয়তা এবং প্রতিযোগিতামূলক টেলিযোগাযোগ ব্যবসা সম্প্রসারণ করে ভয়েস কল এবং ডেটা, অর্থাৎ ইন্টারনেট ও ডেটাকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে নিয়ে আসার একটা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা সূচিত হয়েছে।

নতুন নীতিমালায় স্টারলিংকের সাথে সম্পর্কিত এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতা সমাধান করা হয়েছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকারের লক্ষ্য হলো দেশের দুর্গম ও পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জনগণ পর্যন্ত স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়া। চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকা প্রাথমিকভাবে সেবার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে এবং সেখানে সেবা সম্প্রসারণের জন্য আলাদা আলোচনা চলছে।

তিনি বলেন, নতুন নীতিমালার মাধ্যমে বেসরকারি সেবা প্রদানকারীরা বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবেন, স্টারলিংক সেবার সম্প্রসারণ দেশের ডিজিটাল সংযোগ ও প্রযুক্তি খাতকে শক্তিশালী করবে, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত হবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন নীতিমালা বাস্তবায়নের ফলে টেলিযোগাযোগ খাতে অতীতের মনোপলি ও জটিল লাইসেন্স কাঠামো ভেঙে যাবে। এতে গ্রাহকরা আরও প্রতিযোগিতামূলক মূল্য এবং উন্নতমানের সেবা পাবেন।

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
তিন জেলায় দুদকের অভিযান : স্বাস্থ্যসেবা ও বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম উদ্ঘাটন
চিতলমারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু
সবাই যেন নিজেদের জীবনে মহানবী (স.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমার প্রতিফলন ঘটাতে পারি : তারেক রহমান
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরি : শারমীন এস মুরশিদ
ডাকসু নির্বাচন ঘিরে ঢাবি এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
মার্কিন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ‘যুগান্তকারী’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক পোর্টেবল আল্ট্রাসাউন্ড যন্ত্র চালু করতে যাচ্ছে
টেক্সাসে গর্ভপাতের বড়ি ডাকযোগে পাঠানো রোধে বিল পাস
ইতালীয় ফ্যাশন কিংবদন্তি জর্জিও আরমানি মারা গেছেন
ইউক্রেনে ড্যানিশ রিফিউজি কাউন্সিলের ২ সদস্য নিহত: গভর্নর
সংসদীয় আসনের সীমানার গেজেট প্রকাশ : আসন বেড়েছে গাজীপুরে, কমেছে বাগেরহাটে
১০