আরোপিত দায়িত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সুরক্ষা দেয়ার চেষ্টা করব : বুলবুল

বাসস
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৩৭ আপডেট: : ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৫০
ছবি : বাসস

ঢাকা, ১৮ নভেম্বর ২০২৫ (বাসস) : গত মাসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান ও সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

তিনি ধারণা করেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের ক্রান্তিকালে তার নেতৃত্ব স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনায় গুরুত্ব দেবে এবং তৃণমূল পর্যায়ে উন্নতিকে দৃঢ় করবে। আইসিসি ও এসিসির অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে ট্রিপল সেঞ্চুরি নামক নতুন ক্রিকেট সনদ তৈরি করেছেন বুলবুল। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট জাতির কাঙ্খিত উন্নয়নের পথে অগ্রসর হবে।

বুলবুলের কর্মপরিকল্পনা এবং সেগুলো বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে সম্প্রতি তার সাথে কথা বলেছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন এবং নেতৃত্বও দিয়েছেন, এখন আপনি বিসিবির সভাপতি। এখন পর্যন্ত সভাপতি হিসেবে অভিজ্ঞতা কেমন?

বুলবুল : আমার প্রথম মেয়াদ ছিল পাঁচ মাস- সেখানে আমি ট্রিপল সেঞ্চুরি প্রোগ্রাম প্রতিষ্ঠা করি। এখন আমি সেটা ডেলিভারি করা শুরু করছি। প্রথম পাঁচ মাস ছিল বলা যায় শিখেছি, দেখেছি। এরপর চার বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছি। এখন আমি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে পারি। বোর্ডে আমি যখন এসেছিলাম, আমার কাছে মনে হয়েছিল ধ্বংসস্তূূপের মধ্যে এসেছি। সেই ধ্বংসস্তূূপ থেকে আমরা বের হওয়ার চেষ্টা করছি।

প্রশ্ন : দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে এমন কোন নির্দিষ্ট কারণ ছিল কি, যা অনুপ্রাণিত করেছিল। কারণ সবাই জানে, এই দায়িত্ব অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং।

বুলবুল : সব ধরনের সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু সত্যি বলতে দু’টো বিষয় ছিল। প্রথমত আমি সত্যিই জানতাম না যে এই জায়গাটা এত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। আমি ২০টি সহযোগী সদস্য বোর্ডের সাথে এবং শ্রীলংকা ও আফগানিস্তানের সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি। সেই কাজের মাধ্যমে আইসিসির বিভিন্ন বোর্ডের ধরণ এবং তাদের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি। আমি ধরে নিয়েছিলাম এখানেও সবকিছু একই রকম হবে। কিন্তু সেই ধারণা ভুল ছিল।

দ্বিতীয়ত আমি আসলে প্রথম চার মাস কাজ করার জন্যই এখানে এসেছিলাম। কারণ আমার একটা চাকরি ছিল। আমার পরিবার অস্ট্রেলিয়াতে থাকে। এই মুহূর্তে আমার এখানে কিছুই নেই। আমার পরিবার দূরে থাকে। এখানে আমার কোন আয় নেই এবং আমি আমার নিজের টাকায় ঢাকায় থাকি। নিজের টাকায় মেলবোর্নে ভ্রমণ করি। আমার সঞ্চয় করা অর্থ নিয়ে চলছি। আমি ক্রিকেট বোর্ড থেকে এক টাকাও নেই না।

আমি শুধুমাত্র এটা করছি কারণ আমি অনুভব করেছি বাংলাদেশের ক্রিকেটে আমাকে প্রয়োজন। এখানে অনেকেই আছে যারা আমার চেয়েও ভাল সংগঠক। কিন্তু যেহেতু আমি দায়িত্ব পেয়েছি এবং আইসিসি ও এসিসিতে গত ১৯ বছর ধরে এই ধরনের কাজ করেছি। তাই আমি মনে করি আমার এটি করা উচিত। বোর্ডের ২৫ জন পরিচালককে সাথে নিয়ে আমি দেশের জন্য এই কাজটা করতে চাই।

এখানে একটাই স্বার্থ, বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্বার্থ। অন্য কিছু না।

আরও একটি ব্যাপার হচ্ছে এটি উপভোগ করার মত বিষয় না। এটা অনেক বড় দায়িত্ব। বাংলাদেশ ক্রিকেট আমাদের কাছে ভরসা হিসেবে এসেছে। আমি সেই বিশ্বাস রক্ষা করার চেষ্টা করছি।

প্রশ্ন : শততম টেস্ট খেলতে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম কোন ক্রিকেটার অনন্য এক মাইলফলক স্পর্শ করবে। মুশফিকের জন্য আপনার বা বোর্ডের বিশেষ কোন পরিকল্পনা আছে?

বুলবুল : আমরা ২৫ বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলছি এবং এই ২৫ বছরে আমাদের প্রথম কোন ক্রিকেটার শততম টেস্ট ম্যাচ খেলবে। ২০০০ সালে যখন আমরা টেস্ট ক্রিকেট খেলা শুরু করি প্রথম দুই বছরে আমরা অনেক ক্রিকেটার খেলিয়েছি। এমনকি পরের দশ বছরেও আমরা অনেক খেলোয়াড় খেলিয়েছি। তাদের অনেকেই এক বা দু’টি বা তিনটি টেস্ট খেলেছে, এমন বহু খেলোয়াড় আছে। আমাদের নির্বাচন সবসময় খুব সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না।

আমরা নতুন টেস্ট দল ছিলাম। অসংখ্যবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি, এজন্য এই ২৫ বছরে আমাদের এত বেশি টেস্ট ক্রিকেটার খেলেছে। পৃথিবীর অন্য যেকোন দেশের চেয়ে বেশি।

মুশফিকের ক্যারিয়ারে তিনটি ভূমিকা ছিল। প্রথমত বাংলাদেশের সবচেয়ে  নির্ভরযোগ্য ব্যাটার ছিলেন তিনি। এজন্য মুশফিকের নাম হয়ে গেল ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’।

দ্বিতীয়ত উইকেটরক্ষক ছিলেন মুশফিক এবং তৃতীয়ত সব ফরম্যাটেই খেলেছেন তিনি। এই তিনটি একত্রিত করা হলে শততম টেস্ট খেলা একটি বিশাল অর্জন। বিশেষ করে এমন এক দেশে যেখানে টেস্ট ম্যাচ খুব কম হয়। ক্রিকেটের প্রতি তার ডেডিকেশন, ফিটনেস এবং ধারাবাহিকতার কারণেই এমন সম্ভব করেছে। আমার কাছে মনে হয় সে এটার যোগ্য দাবীদার।

যেহেতু আমরা তার শততম টেস্টের অংশ হবার সুযোগ পেয়েছি তাই এটিকে আমরা স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা করব। তবে ম্যাচ চলাকালীন আমরা কোন কিছুর সাথে তাকে সম্পৃক্ত করব না যাতে তার মনোযোগে ব্যঘাত ঘটে। ক্রিকেট অপারেশন্স কিছু আয়োজন করছে সেগুলো আমরা তার সাথে শেয়ার করব এবং সেগুলো করার চেষ্টা করব।

প্রশ্ন : কি ধরনের আয়োজন করা হচ্ছে?

বুলবুল : সম্ভবত একটি বিশেষ ক্যাপ, সতীর্থদের কাছ থেকে কিছু স্মারক জার্সি এবং একটি পুরস্কার। তার পরিবারকে একসাথে খেলা দেখার জন্য বক্সে আমন্ত্রণ জানানো।

প্রশ্ন : আপনি আগে অসামঞ্জস্যপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলেছেন। এমনকি এখন চার-পাঁচজন সিনিয়র খেলোয়াড় ছাড়া অন্য কেউ ৫০টিও টেস্ট খেলেনি। অনেকে সাত বা আট বছর ধরে খেলছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরমেন্স করলেও টেস্টে মেলে ধরতে পারছে না। ২৫ বছর পরও ঘরোয়া ও টেস্ট ক্রিকেটের মধ্যে পার্থক্য অনেক বেশি। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি?

বুলবুল : আমাদের বোর্ডের বয়স এখন পর্যন্ত মাত্র ৩৬ দিন। এই ৩৬ দিনে আমি দেখেছি আমাদের অনেক সম্ভাবনা আছে। নির্বাচন একটি প্রক্রিয়া। এখানে কিছু নীতি অনুসরণ করা উচিত। আমি এখনও জানি না, কোন নীতি অনুসরণ করা হয়। অবশ্যই তাদের পারফরমেন্স বড় ব্যাপার। কিন্তু পারফরমেন্সের সাথে দুই ধরনের নির্বাচন আছে। একটা হচ্ছে বুক সিলেকশন, যেটা স্কোর কার্ড বা তাদের ডাটা দেখে বা তাদের পরিসংখ্যান দেখে নির্বাচন করা হয়।

আরেকটা হচ্ছে- স্পট সিলেকশন। মানে স্পটের ট্যালেন্ট দেখেই নির্বাচন করা। যেমন- মুস্তাফিজুর রহমান বা ওয়াসিম আকরাম স্পট ট্যালেন্টের মাধ্যমে এসেছিল।

আমাদের নির্বাচন প্যানেল ১০ বছরের জন্য অপরিবর্তিত ছিল। কোন দেশ একই নির্বাচককে দুই বা তিন বছরের বেশি রাখে না। তাই সঠিক নির্বাচন প্রক্রিয়া ছিল না।

এরপর আমি কোচিং সিস্টেমের কথা বলব। ভালো টেস্ট ক্রিকেট খেলতে হলে শক্তিশালী তৃণমূল কোচিং দরকার। বাংলাদেশে ১৭-১৮ বছর ধরে কোন লেভেল-২ বা লেভেল-৩ কোচিং কোর্স ছিল না। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর লেভেল-৩ কোর্স শুরু করি।

তৃতীয় হল মানসম্পন্ন উইকেট। আমাদের ভাল মানের টেস্ট উইকেট ছিল না।

চতুর্থ হল আমাদের যে বিভাগীয় দলগুলো করা হয় সেগুলো এখনও ঢাকা থেকে খুলনা-বরিশাল ও চট্টগ্রামের দল করে। এটা কোন কাজ হতে পারে না।

এজন্য আমাদের কোন প্রক্রিয়াই সঠিক ছিল না। কোন ব্যবস্থাও ছিল না। এখন সেগুলো পরিবর্তন করে আমরা বিভাগেই বিভাগের মতো করে দল করা, বিভাগকে সুবিধা দেওয়া, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের উন্নতি করা, সারা দেশে আরও কোচকে প্রশিক্ষণ দেওয়া ব্যবস্থা করতে চাই। তবে এগুলো করতে সময় লাগবে।

প্রশ্ন : এই সব বিকেন্দ্রীকরণের সাথে মিলে যাচ্ছে। আগের বোর্ডগুলো কেন তা করেনি?

বুলবুল : একটি হচ্ছে সঠিক পরিকল্পনা কখনই ছিল না এবং দ্বিতীয়ত ঢাকার বাইরে কেউ ক্ষমতা দিতে চায়নি।  

প্রশ্ন : ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণে আপনি কিভাবে কাজ করতে চান?

বুলবুল : আমাদের বোর্ডে ক্লাব থেকে ১২ জন পরিচালক, ১০ জন জেলা/বিভাগ থেকে, দুইজন সরকারী, একজন তিন ক্যাটাগরি থেকে। ১০ জন জেলা/বিভাগের পরিচালকদের সেখানে ক্রিকেটের বিকাশ করার কথা ছিল- তারা কিছুই করেনি। এখন আমরা তাদের আসল কাজ করতে বাধ্য করছি। আমরা যদি প্রত্যেকের ভূমিকা এবং শর্তাবলী স্পষ্ট করি তাহলেই উন্নতি করবে।

প্রশ্ন : আপনার ট্রিপল সেঞ্চুরির প্রোগ্রাম সম্পর্কে কিছু বলুন।

বুলবুল : আমাদের ক্রিকেট ইকো-সিস্টেম সম্পর্কে বুঝতে হবে। ক্রিকেট ইকো-সিস্টেম বোঝার জন্য আমাদের তৃণমূল পর্যায়ে শুরু করতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা এবং কমিউনিটি প্রতিষ্ঠান। একটি শক্তিশালী উন্নয়ন কাঠামো অপরিহার্য। আমাদের অবশ্যই নিয়মিত প্রশিক্ষণ, কোচিং এবং মধ্যবর্তী খেলোয়াড়দের জন্য প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। সকল ঘরোয়া প্রতিযোগিতা - এনসিএল, বিসিএল, আঞ্চলিক ও জেলা লিগ, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রিকেট এবং ক্লাব ক্রিকেটে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ সব কিছু আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে শেষ পর্যন্ত ভূমিকা রাখবে।

ট্রিপল সেঞ্চুরি প্রোগ্রাম বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য একটি সনদ। যা আমি ব্যক্তিগতভাবে দীর্ঘমেয়াদী রোডম্যাপ হিসেবে ডিজাইন করেছি। এটি চারটি মূল স্তম্ভের উপর নির্ভর করা। সেগুলো হল- খেলার চেতনা রক্ষা করা, প্রতিটি স্তরে ভাল পারফরমেন্স নিশ্চিত করা, দেশজুড়ে খেলাকে সংযুক্ত করা এবং বৃদ্ধি করা ও বিসিবিকে একটি বিশ্বমানের সংস্থায় রূপান্তর করা।

প্রশ্ন : আপনার ট্রিপল সেঞ্চুরি প্রোগ্রামকে আপনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সনদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তা আশাব্যঞ্জক মনে হচ্ছে। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেট ঢাকা কেন্দ্রিক। বাকি সব জেলায় নিয়মিত ক্রিকেট লিগ আয়োজনের জন্য কি ব্যবস্থা নিয়েছেন।

বুলবুল : আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, আপনি আগের বোর্ডে কেন এটা জিজ্ঞেস করেননি?

যাই হোক, আমাদের বিকেন্দ্রীকরণ ধাপ-১ হয়ে গেছে। আমরা প্রতিটি জেলা থেকে চারজন স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে এসেছি এবং তাদের চাহিদা জেনেছি।

পরবর্তী পদক্ষেপ হল প্রতিটি বিভাগে ক্রিকেট প্রধান নিয়োগ করা। সেখানে তারা ঘরোয়া ক্রিকেট চালাবে, জেলা কোচ, জেলা লিগ, সবকিছু করবে। আমরা সারা দেশে বিসিবির ছোট ছোট অফিস স্থাপন করছি। ক্রিকেট এখন স্থানীয়ভাবে চলবে। নির্বাচন প্রক্রিয়াও সেখানে হবে, ঢাকা থেকে নয়।

সিলেট ও রংপুরে আমাদের পাইলট কার্যক্রম শুরু হবে। এখনও চট্টগ্রাম বিভাগ নয়, কারণ এটি অনেক বড়। সেখানে ১২টি জেলা আছে। আমরা ইতোমধ্যে সেখানে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছি। আমরা ছোট পরিসরে শুরু করতে চাই যাতে আমরা ভুল না করি।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের পারফরমেন্স সব ফরম্যাটে নিম্নমুখী? আমরা ভাল ওয়ানডে দল ছিলাম। এটি কিভাবে দেখছেন?

বুলবুল : এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। শুধু পারফরমেন্সই দেশের ক্রিকেটের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে না। আমাদের প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেট, পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেট, এবং টেস্ট ক্রিকেট এসব নির্ভর করে আমাদের কোচিং, অবকাঠামো এবং প্রথম-শ্রেণির ব্যবস্থার গুণগত মানের ওপর। এক সময় আমাদের ওয়ানডে দল খুবই শক্তিশালী ছিল, যেখানে সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাশরাফি-রিয়াদের মত খেলোয়াড় ছিল। এখন পরবর্তী প্রজন্মের উত্থানের জন্য প্রধান প্ল্যাটফর্ম হল- ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল), কারণ আমাদের কাছে অন্য কোন শক্তিশালী ও প্রতিযোগিতামূলক ওয়ানডে লিগ নেই।

এখন শুনছি বেশ কয়েকটি ক্লাব হয়ত এবার ঢাকা লিগে অংশ নেবে না। এতে আমাদের পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেট ক্ষতিগ্রস্থ হবে। প্রতিযোগিতামূলক একদিনের ম্যাচের সংখ্যা এবং মান হ্রাস পাবে। ক্লাব সিস্টেম, যেখানে আমাদের বেশিরভাগ জাতীয় খেলোয়াড় খেলে থাকে, তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

ক্রিকেট বোর্ডে দায়িত্ব হল মাঠ, বল, আম্পায়ার, সুযোগ-সুবিধা এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়া এবং প্রতিযোগিতা আয়োজন করা। কিন্তু খেলোয়াড়রা তাদের ক্লাবের ব্যানারে অংশগ্রহণ করে। ক্লাবগুলো অংশগ্রহণ না করলে এই তিনটি বড় ক্ষতি অনিবার্য হয়ে পড়ে। আর যদি ডিপিএল দুর্বল হয়ে যায়, তাহলে আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ক্রিকেটের মধ্যে ব্যবধান আরও বেড়ে যাবে। ফলে আমাদের জাতীয় দলের পারফরমেন্সের অবনতি হবে।

ডিপিএলের মানই আমাদের ওডিআই ক্রিকেটের শক্তি নির্ধারণ করে। ক্লাবগুলো ভাল পারফর্ম করলে জাতীয় দলও লাভবান হবে। যেহেতু ১২ জন পরিচালক এই লীগ থেকে এসেছেন, তারা যদি তাদের ক্লাবগুলিকে প্রতিযোগিতামূলক এবং ভালভাবে চালাতে পারেন, তাহলে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটের মধ্যে ব্যবধান কমবে। নয়ত পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হবে।

আমরা ইতোমধ্যেই প্রথম বিভাগের ক্লাবগুলির সাথে কথা বলেছি - ২০টির মধ্যে ১২টি ক্লাব খেলতে সম্মত হয়েছে। আমরা অন্যদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমাদের দায়িত্ব প্রতিযোগিতা পরিচালনা করা। ক্লাবগুলোর দায়িত্ব হল- তাদের খেলোয়াড়দের নিজেদের ব্যানারে খেলানো। বাকী অন্য সব অর্থায়ন-সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা আমাদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। কেউ যদি অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আমরা তাদের বাধ্য করতে পারি না। কিন্তু এতে শুধুমাত্র ক্রিকেটেরই ক্ষতি করবে।

প্রশ্ন : লিগ বাদ দেওয়ার কারণ কি দেখাল ক্লাবগুলো? তাদের খেলার জন্য রাজি করাতে আপনি কি ক্লাবগুলোর সাথে কথা বলছেন?

বুলবুল : আমার মতে এই ধরনের অনেক সিদ্ধান্ত বোর্ডের ক্ষমতা বা পদ-প্রেসিডেন্ট, কাউন্সিলর বা পরিচালক হওয়ার জন্য প্রভাবিত করে। ক্রিকেটের উন্নতির জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি নিজে মোহামেডানসহ বড় ক্লাবগুলোর সাথে কথা বলছি। ক্লাবের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য আমরা সবাই চেষ্টা করছি। কারণ খেলোয়াড়রা বাংলাদেশের খেলোয়াড়, তাদের খেলতে দেওয়া উচিত। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, পরিস্থিতি এই অবস্থায় পৌঁছেছে এবং এটি হওয়া উচিত ছিল না।

ওয়ানডেতে আমরা শুধু ঢাকা লিগ খেলি। অন্য ৫০-ওভারের প্রতিযোগিতা নেই। কিছু ক্লাব অংশগ্রহণ না করার কারণে যদি এই বছর পারফরমেন্স দুর্বল হয়ে যায়, তাহলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তখন জাতীয় দল ও পাইপলাইন দুর্বল হয়ে পড়বে। বোর্ড মাঠ-বল-আম্পায়ার-তহবিল সরবরাহ করে। ক্লাবগুলোর শুধুমাত্র দল গঠন করতে হবে। নয়ত ক্রিকেট ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আমরা ১২টি ক্লাবকে আশ্বস্ত করেছি, আমরা আরও ক্লাব আনার চেষ্টা করছি।

প্রশ্ন : আপনার হাতে থাকা এই চার বছরের মধ্যে আপনি বাংলাদেশকে আইসিসি র‌্যাংকিংয়ে কোথায় দেখতে চান। সেটা টেস্ট-ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট হোক?

বুলবুল : এখনই বলা খুব কঠিন। আমরা যে অবস্থা থেকে শুরু করছি তা বিবেচনা করে একটি দলের ভাল পারফরমেন্সের জন্য আপনার সঠিক ম্যানেজমেন্ট প্রয়োজন। কিন্তু এখানে ম্যানেজমেন্টের কোন সিএফও নাই, একটা হেড অফ এইচআর নাই, একটা কোন হেড অফ কমার্শিয়াল নাই, ডিজিটাল কিছু নাই এখানে। এইগুলো সব সেট করার পর, ক্রিকেটটা বিকেন্দ্রীকরণ করে, দেশব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট চালু করার পরে দেখতে চাই আমাদের জাতীয় দলের পারফরমেন্স একটু বেটার করা। আমি এই মুহূর্তে কোন কমিটমেন্ট দিতে চাই না। তবে দেশব্যাপী ক্রিকেটটাকে ঢেলে সাজাতে চাই।

প্রশ্ন : কিন্তু বাংলাদেশে মানুষ সাধারণত দ্রুত সাফল্য দেখতে চায়। এক-দুই বছরের মধ্যে সাফল্য না আসলে মানুষ আবার অধৈর্য্য হয়ে পড়বে বলে মনে হয় না?

বুলবুল : হ্যাঁ, এটা আমরা ২৫ বছর পর বলছি। আমরা চেষ্টা করব। আমরা যদি ভাল কিছু করতে না পারি তাহলে সরে যাব। এতে কোন সমস্যা নেই। যদি আরও ভাল কেউ আসে বা যদি আমরা মনে করি যে, আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করতে পারছি না, এটা আমাদের জীবনের একটি পর্যায় মাত্র। আমরা আমাদের অবস্থান চিরকাল ধরে রাখব না।

আমার প্রধান উদ্বেগ হল বাংলাদেশের মানুষ জাতিগতভাবে দ্রুত সাফল্য চায়। দীর্ঘ মেয়াদে হলে অনেকেই মনে করে পরিকল্পনাগুলি কাজ করে না, কারণ তারা অনেক সময় নেয়। তারপরও স্বল্পমেয়াদী মানে এই নয় যে আমরা জাতীয় দলের পারফরম্যান্সের উপর ফোকাস করব না। তবে আমরা তৃণমূল ক্রিকেটকে শক্তিশালী করার দিকে আরও বেশি মনোযোগ দিতে চাই।

প্রশ্ন : জাতীয় দল নিয়ে বিশেষ কোন পরিকল্পনা আছে?

বুলবুল : এই মুহূর্তে, আমাদের ক্রিকেটের মৌলিক পথগুলো পরিষ্কার নয়। জেলা বা বিভাগীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়রা কোথায় খেলবে, প্রতিভা সনাক্তকরণ কিভাবে কাজ করবে, এই খেলোয়াড়রা কোন প্রতিযোগিতার অংশ হবে, আমাদের প্রথমে এই সব কিছু সেট করতে হবে। এই বিষয়গুলি কখনই সঠিকভাবে বিদ্যমান ছিল না। একবার এগুলো ঠিক হয়ে গেলে, আমরা বাকিগুলিতে মনোযোগ দিতে পারব।

জাতীয় দলের জন্য আমরা উন্নত মানের প্রশিক্ষণ চালু করার চেষ্টা করব। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলতে হলে আমাদের ক্রীড়া বিজ্ঞান থাকা আবশ্যক। আমরা সেদিকেই গুরুত্ব দিচ্ছি।

প্রশ্ন : দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত আপনি কি কি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন?

বুলবুল : আমি ক্রিকেটের ভেতরে এবং বাইরে অনেকগুলো বাধা দেখেছি। উদাহরণস্বরূপ গত ১৬ নভেম্বর সবচেয়ে বড় খবর হওয়া উচিত ছিল হাবিবুর রহমান সোহান নামের এক যুবক একটি টুর্নামেন্টে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেছে। কিন্তু কোথাও এর কোন খবর নেই।

আমাদের টেস্ট দল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে এবং তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে একটি রিপোর্টও নেই। আমরা ক্রিকেটকে একপাশে ঠেলে দিয়েছি এবং দর্শক বা ব্যবসার জন্য আমরা শুধুমাত্র নেতিবাচক শিরোনাম তুলে ধরছি। আমি বিশ্বাস করি এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য বড় বাঁধা।

দ্বিতীয়ত সরকার সবসময়ই বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বিশাল সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু অন্যদিকে আমাদের ক্রিকেট সংস্কৃতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এই ক্রিকেট সংস্কৃৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করা জরুরি।

ক্রিকেট আর রাজনীতি কখনও একসাথে চলতে পারে না। ক্রিকেটকে স্বাধীনভাবে চলতে দেওয়া উচিত। রাজনীতি যখন ক্রিকেট বা যেকোন খেলায় প্রবেশ করে তখন তা রাজনৈতিক স্বার্থের মধ্যে হয়ে পড়ে। তাই আরও ভাল হয় যদি ক্রীড়ামুখী প্রশাসক এগিয়ে আসে বা আমাদের সহযোগিতা করেন।

অবশেষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ক্রিকেট ১৫ বছরে পিছিয়ে গেছে। অগ্রগতির জন্য, আমাদের প্রথমে সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রশাসন হোক, কোচিং হোক বা লীগ ব্যবস্থা, সবকিছুই নেতিবাচক হয়ে উঠেছে।তাই প্রথমে আমাদের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে হবে। তবেই আমরা গতিশীলতা গড়ে তুলতে পারব। এই স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে অনেক পরিশ্রম প্রয়োজন। আর সেই কাজের জন্য প্রতিটি সেক্টরের সহযোগিতা প্রয়োজন।

প্রশ্ন : সাম্প্রতিক বিষয়গুলো সম্পর্কে - যেমন বর্তমানে নারী ক্রিকেট সম্পর্কে প্রচারিত বিষয়গুলো, যার মধ্যে জাহানারার অভিযোগ রয়েছে। এগুলো কতটা বিব্রতকর?

বুলবুল : মূলত এই ঘটনাটা ঘটেছিল ২০২১-২২ সালে। প্রধান নির্বাহীর মাধ্যমে আমরা যতদূর জানতে পেরেছি তৎকালীন বোর্ড ঐ সময় বিষয়টি শেষ করে দিয়েছিল। ঐ সময় তারা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যেটা আমরা বিস্তারিত এখনো জানিনা। এসব বিষয়ে সব রেকর্ড আছে। বিস্তারিত জানিনা বলতে বোঝাতে চাচ্ছি কিভাবে তারা বিষয়টি শেষ করেছিল সে সম্পর্কে আমরা জানিনা। কিন্তু জাহানারা যে চিঠিটা দিয়েছিল সেই চিঠিটা পাওয়া গেছে।

ওই চিঠিতে যে অভিযোগগুলো ছিল তার সাথে এখন যে অভিযোগগুলো এসেছে তার কোন মিল নেই। ঐ সময় কোন বিষয় যদি সমাধান না হয়ে থাকে তবে সেগুলো সে বোর্ডের কাছে বলতে পারতো। সমস্যা হচ্ছে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোন কিছু আমাদের কাছে না আসলে বিষয়গুলো নিয়ে দ্বিধা থেকেই যায়।

তারপরও আমরা অনুভব করেছি বিষয়টি সমাধান করা জরুরী। যে কারনে আমরা পাঁচ সদস্যের একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করেছি, ইতোমধ্যেই এই কমিটি কাজ শুরু করেছে। যেহেতু তদন্ত চলছে, আমরা হস্তক্ষেপ করছি না, আমাদের আপডেটও দেওয়া হচ্ছে না।

আরেকটি বিষয় দাবী করা হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের একটি মেয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি) একটি চিঠি দিয়েছিল যে বিষয়টি গোপন করা হয়েছে। চিঠিটি বিসিবি নির্বাচনের ঠিক আগে এসেছিল। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ না পেয়ে হতাশা থেকে সে সম্ভবত চিঠিটি লিখেছিল। পরবর্তীতে ঐ মেয়েটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছে তার স্বাক্ষর জাল করে অন্য কেউ এই চিঠি লিখেছে, সে এ ধরনের কোন চিঠি এনএসসিকে দেয়নি। বোর্ডের পক্ষ থেকে এনএসসিকে এই চিঠির বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।

এসব বিষয়ে অপ্রয়োজনে আমার নাম ব্যবহার করা হলো। আমি মনে করি সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এমনটি করা হয়েছে। সবকিছুর পরও আমি বোর্ড সভাপতি।

এখানে একটি কথাই বলতে চাই এই ইস্যুগুলো যেহেতু আমাদের কাছে এসেছে আমরা সেটা এড়িয়ে যেতে পারিনা। তদন্ত কমিটির কাছে আমরা বিষয়গুলো সমাধানের জন্য তুলে দিয়েছি। আমরা প্রশ্ন হলো যেহেতু সমস্যাগুলো পুরনো তাহলে এর দায়ভার কেন আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমাদের বোর্ডের বয়স মাত্র ৩৫ দিন। ভবিষ্যতেও যেন এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমরা কিছু পরামর্শ পাবো হয়তো এই নতুন কমিটির কাছ থেকে।

প্রশ্ন: গত কয়েক মাসের বিসিবি বেশ কিছু কাজ করেছে। সেগুলো নিয়ে আপনার মতামত।

বুলবুল: গত কয়েক মাসে আমাদের কাজগুলো হল- আমরা কোচিং কাঠামো সম্পন্ন করেছি, লেভেল-৩ কোর্স পরিচালনা করেছি, বিশেষ ব্যাটিং কোর্স, আম্পায়ারিং কোর্স করেছি, একটি আম্পায়ারিং প্যানেল তৈরি করেছি, সাইমন টাফেলকে নিয়ে এসেছি, অ্যালেক্স রসকে ফিরিয়ে এনেছি, রস টার্নারের সাথে লেভেল-৩ প্রোগ্রাম পরিচালনা করেছি। আমাদের জাতীয় দল শেষ চারটি সিরিজ জিতেছে। বিশ্বকাপে নারী দল দারুণ পারফর্ম করেছে।

গত আড়াই মাসে আমরা বিশ্বমানের এইচআর কোম্পানির মাধ্যমে পুরো বোর্ড পুনর্গঠন করেছি। আমরা এখন বোর্ড জুড়ে নতুন ভূমিকাসহ একটি নতুন কাঠামো বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি। আইসিসিতে আমাদের সুনাম আছে। তারা আমাদের কাজের প্রশংসা করে।

ক্রীড়া ও ক্রিকেট সাংবাদিকদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ, খেলা সম্পর্কে কথা বলুন। যখন কেউ ১৫০ রানের ইনিংস স্কোর করে, যখন আমাদের টেস্ট দল জিতে যায়, যখন আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে যাই, আমরা টি-টোয়েন্টিতে হারি বা জিতে যাই, এসব নিয়ে বলতে হবে।

আমি বিশ্বাস করি সবার উচিত ন্যায্য থাকা। সবার কাছে এটাই আমার শেষ অনুরোধ।

প্রশ্ন: আপনি যখন সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তখন কি চাপ ও সমালোচনা আশা করেছিলেন?

বুলবুল : না, করিনি। আমি ভেবেছিলাম এটি মসৃণ হবে। কিন্তু কেউ যখন সমস্যায় পড়ে তখনই মানুষের আসল রূপ দেখা যায়। নির্বাচনের সময় বুঝতে পেরেছি। কিছু লোক যারা রিপোর্ট বা মতামতকে প্রভাবিত করে। আমি মনে করি তাদের আরও ক্রিকেট-কেন্দ্রিক হতে হবে।

আমি অনেক কিছু শিখেছি। এটা আমার শেখার অংশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি অনুমোদন : হোয়াইট হাউস
ইউক্রেনের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র অর্ডার অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের
বেরোবিতে ২৯ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে
ট্রাম্পের নৈশভোজে সৌদি যুবরাজের সঙ্গে রোনালদো ও মাস্ক
রাঙামাটিতে সাংবাদিকদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
মুশফিকের শততম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
বিএনপি ও এনসিপিসহ ১৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসি’র সংলাপ আজ
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে আহত ৩২ 
রমনা ভবনের পাশের মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক দিলীপ আগরওয়ালার বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা
১০