বাসস
  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫৪

পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মামুনের নামে দুদকের চার্জশিট

ঢাকা, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৮১ লাখ ২ হাজার ১০৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২ কোটি ৫৬ লাখ ৭১ হাজার ৯৪৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সংস্থার মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

তিনি জানান, বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিকানার প্রমাণ পাওয়ায় ২০২২ সালের ২১ জুন মামুনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে দুদক।

আসামির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মহাপরিচালক বলেন, আসামি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৪০ লাখ ২৬ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ (উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ ব্যতিত) এবং ৬৬ লাখ ৫২ হাজার ৬৮৭ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদসহ ১ কোটি ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৭ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ প্রদর্শন করেছেন।

তদন্তকালে তার নামে ২ কোটি ৯৫ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৭ টাকার স্থাবর এবং ১ কোটি ৭৬ লাখ ১১ হাজার ৬৩৮ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৪ কোটি ৭১ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৫ টাকা সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।

দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিনি ২ কোটি ৫৬ লাখ ৭১ হাজার ৯৪৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এ ছাড়া আসামি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের নামে ৪ কোটি ৭১, লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৫ টাকার নীট সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এই সম্পদ অর্জনের বিবেচ্য সময়ে তার গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ২ কোটি ৪১ লাখ ১৮ হাজার ১৪৪ টাকা।

একই সময়ে আয়কর নথি অনুসারে তার পারিবারিক ব্যয় পাওয়া যায় ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৭৫৩ টাকা। ব্যয়সহ অর্জিত সম্পদের মূল্য ৫ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার ২৪৮ টাকা। এক্ষেত্রে আব্দুল্লাহ আল মামুনের গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎসের চেয়ে ২ কোটি ৮১ লাখ ২ হাজার ১০৪ টাকার সম্পদ বেশি রয়েছে।    

দুদকের এজাহার বলছে, আসামি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে চাকরিকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এ সম্পদ অর্জন করেছেন।