দাম্ভিকতাই শেখ হাসিনার পতনের কারণ: মিয়া গোলাম পরওয়ার

বাসস
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:১৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ফাইল ছবি

ঢাকা, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, শেখ হাসিনা দাম্ভিকতা দেখিয়েছেন। সেই দাম্ভিকতাই তার পতনের কারণ হয়েছে। 

বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জুলাই বিপ্লবের শহিদ স্মারক-এর মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানের খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হল থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

গোলাম পরওয়ার বলেন- হেলিকপ্টার থেকে গুলি, মৃত মানুষকে পুড়িয়ে মারাসহ নানা অত্যাচারে-নির্যাতনে আল্লাহর আরশ কেপেছে, মানুষের মন কেঁদেছে কিন্তু শেখ হাসিনার হৃদয় কাঁপেনি। বরং কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের রাজাকার বলে শেখ হাসিনা দাম্ভিকতা দেখিয়েছেন। হাসিনার সেই দাম্ভিকতাই তার পতনের কারণ হলো। 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। 

অতিথি হিসবে বক্তৃতা করেন- কেন্দ্রীয় মজলিসে সুরা সদস্য ও  খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হুসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে সুরা সদস্য ও বগেরহাট জেলা আমির মাওলানা রেজাউল করীম, খুলনা আলিয়া কামিলমাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মুফতি মাওলানা আব্দুর রহীম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সাবেক নির্বাহী সদস্য ও মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আলাউদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরী সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনার প্রতিনিধি তাসনিম আহমেদ, কুয়েট প্রতিনিধি মো. ওমর ফারুক, সাতক্ষীরা জেলার যুগ্ম সদস্যসচিব নাজমুল হাসান রনি, বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক এস এম সাদ্দাম, নর্দান ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. মো. শাহ আলম, শহিদ রকিবুল ইসলামের পিতা মো. রফিকুল ইমলাম, শহিদ আলিফ আহমেদ সিয়ামের গর্বিত পিতা বুলবুল কবীর, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বদরুজ্জামান নাবিল ও ক্বারি হাবিবুল্লাহ বেলালী। 

এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান খান ও মাস্টার শফিকুল আলম, সাতক্ষীরা জেলা আমীর মাওলানা শহীদুল ইসলাম, খুলনা মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সাতক্ষীরা নায়েবে আমীর নুরুল হুদা, খুলনা জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষমাওলানা কবিরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান, বাগেরহাট জেলা সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ ইড়ননু, খুলনা জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, মহানগর সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট শাহ আলম, পিন্সিপ্যাল শেখজাহাঙ্গীর আলমও আজিজুল ইসলাম ফারাজী, দৈনিক পূর্বাঞ্চলের নির্বাহী সম্পাদক আহমদ আলী খান, দৈনিক প্রবাহের নির্বাহী সম্পাদক এনামুল হক শাহেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, সাবেক সহ-সভাপতি মো. রাশিদুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সভাপতি মো. আনিসুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হিমালয়, খুলনা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির সিনিয় সদস্য শেখদিদারুল আলম, সদস্য আহমদ মুসা রঞ্জু ও আশরাফুল ইসলাম ইসলাম নুর,খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সাহেব আলী, টিভি রিপোর্টাস ইউনিটি খুলনার সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম মতি, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন খুলনার সভাপতি এম এ হাসান, সাধারণ সম্পাদক রবিউল গাজী উজ্জ্বল, সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, মো. জাহিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, খুলনা জেলাআইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক এডভোকেট জাকিরুল ইসলাম, খুলনার দারুল কুরআনসিদ্দিকিয়া কামিল মদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. ইদ্রিস আলী, নেছারিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুর রহমান, তালিমুল মিল্লাত রহমাতিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা এ এফ এম নাজমুস সউদ, খুলনা টিটিসির সাবেক 

অধ্যক্ষ শেখ ফেরদৌস হোসেন, সবুরুন্নেছা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মরিয়াম সুলতানা, দৌলতপুর দিবানৈশ কলেজের অধ্যক্ষ মো. আনিসুর রহমান, সাংবাদিক নেতা এরশাদ আলী, মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, আতিয়ার পারভেজ, মাশরুর মুর্শেদ ও বশির হোসেন।

এছাড়াও খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের ১২টি শহিদ পরিবার, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানটি ঢাকাসহ দেশের ১১টি সিটিতে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনের শহিদরা কোন দলের নয়, তারা জাতীয় সম্পদ, জাতীয় বীর। 

দ্বিতীয় স্বাধীনতার শহীদ স্মারক গ্রন্থ সম্পর্কে তিনি বলেন, ২৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে জামায়াতে ইসলামীর টিম সব শহিদ পরিবারের বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ৭১৭ জনের তথ্য সম্বলিত আড়াই হাজার পৃষ্ঠার এই ১০ খন্ডের বই প্রকাশ করেছে। এখনো তথ্য সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। আরও ৯৩ জনের তথ্য নিয়ে স্মারকের কাজ চলছে। 

যতক্ষণ তথ্য আসবে শহীদদের স্মারক গ্রন্থ ততক্ষণ চলতে থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, গত ১৬ বছরে দেশের সবগুলো বিভাগকে তছনছ করে দিয়েছিলো তৎকালীন সরকার। স্বৈরাচারারের মাস্টার মাইন্ড শেখ হাসিনা এত অন্যায় অত্যচার করেছেন যে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। দেশের মানুষ আর কোন স্বৈরাচারকে বাংলাদেশে দেখতে চায়না। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু
হজ ও ওমরাহ পালনকে সহজ ও সাশ্রয়ী করার প্রয়াস অব্যাহত থাকবে : বিমান সচিব
অধ্যক্ষ আব্দুল জব্বারের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোক প্রকাশ
বিএনপি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রাজনীতি বিশ্বাস করে : সেলিমুজ্জামান
সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ঠেকাতে ইতিহাস চর্চায় মনোযোগ দিতে হবে : ড. মাহমুদুর রহমান
বাংলাদেশে সবার অধিকার সমান, এই দেশ সবার : সেনাবাহিনী প্রধান
ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতে সোমবার ওয়াশিংটন যাচ্ছেন জেলেনস্কি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া এতো রক্তপাত দেখিনি: মাহবুব মোর্শেদ
হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক ৪ লেনে ও বড়াইগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের দাবিতে মানববন্ধন
নতুন বাংলাদেশ গড়তে কোনো বিভাজন নয় : আমীর খসরু 
১০