ঢাকা, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : যশোর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রনজিত কুমার রায়, তার স্ত্রী নিয়তি রানী রায়, ছেলে রাজীব কুমার রায় ও সঞ্জীব রায়ের বিরুদ্ধে পৃথক ৪টি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রনজিত কুমার রায় ক্ষমতার অপব্যবহার করার মাধ্যমে অবৈধভাবে ৬ কোটি ১২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে এবং তার নামে ২৫ টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ৩৯ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫৬৪ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে ওই টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে নিয়তি বানী রায় তার স্বামী রনজিত কুমার রায় পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ তার নামে ২১টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৮ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার ১০৬ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে ওই টাকা জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় নিয়তি রানী রায় ও তার স্বামী রনজিত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ ছাড়া রনজিত কুমার রায়ের ছেলে রাজীব কুমার রায় পিতার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৩ কোটি ৬০ লাখ ১ হাজার ৬৮১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ রাজীব কুমার রায়ের নিজ নামে তার স্ত্রী রিশিতা সাহার নামে ৬৯ টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১৬২ কোটি ৩৪ লাখ ৪৮ হাজার ৮৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে ওই টাকা জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় রাজিব কুমার রায় ও রনজিত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রনজিত কুমার রায়ের অপর ছেলে সজীব রায় তার পিতার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৩ কোটি ৭৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৫০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ সজীব রায় নিজ নামে ও তার স্ত্রী অনিন্দিতা মালাকার পিউ’র নামে ১৮টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৮ কোটি ৪৯ লাখ ২২ হাজার ২০৯ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে ওই টাকা জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় সজীব রায় ও রনজিত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা রুজুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।