ঢাকা, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উন্নয়নের প্রভাব বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদ্যমান মূলধন ব্যবহার আগামী দশকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে।
মূলধন ব্যবহার পরিকল্পনা (সিইউপি) একটি রূপরেখায় তুলে ধরেছে যে, ২০২৪ সালে এডিবি’র বার্ষিক অর্থায়ন প্রতিশ্রুতি ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০৩৪ সালের মধ্যে ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার এডিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রসারিত অর্থায়ন এ অঞ্চলে এডিবি’র উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোর (ডিএমসি) গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অগ্রাধিকার প্রচেষ্টা আরও জোরদার করবে।
এডিবি’র প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, ‘এই গতিশীল পরিকল্পনা আমাদের অঞ্চলের পরিবর্তিত চাহিদা পূরণ করবে এবং এডিবি’র কাজের রূপান্তরমূলক প্রভাব জোরদার, মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ও আমাদের গ্রহকে সুরক্ষিত করবে।’
আসাকাওয়া আরও বলেন, ‘আমাদের বর্ধিত ঋণদান সক্ষমতা ব্যবহার করে সিইউপি জটিল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় কৌশলগত বিনিয়োগ করতে সক্ষম করবে এবং একই সাথে অঞ্চল জুড়ে আমাদের কার্যক্রমের মান ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করবে।’
সিইউপি এডিবি’র চলমান বিবর্তনের পরবর্তী ধাপের প্রতিনিধিত্ব করবে। ২০২৩ সালে মূলধন ব্যবস্থাপনা সংস্কারের উপর ভিত্তি করে তৈরি সিইউপি এডিবি’র অর্থায়ন ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে এবং গত বছরের কর্পোরেট কৌশলের আপডেটের ওপর ভিত্তি করে ৫টি বিশেষ ক্ষেত্রে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
এডিবি সম্প্রতি রেয়াতি ঋণদান ও এশিয়ান উন্নয়ন তহবিলকে শক্তিশালী করেছে, যা সংস্থাটির দরিদ্রতম ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সদস্য দেশগুলোর জন্য অনুদানের বৃহত্তম উৎস।
সিইউপি কর্মী ও কারিগরি সহায়তা সম্পদের সম্প্রসারণের মাধ্যমে আগামী ২ থেকে ৩ বছরে এডিবি’র ঋণদানের প্রতিশ্রুতি ব্যাপক বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে।
অ-সার্বভৌম কার্যক্রম দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়ে এক দশকে প্রতিশ্রুতির ২০ শতাংশ থেকে ২৭ শতাংশে উন্নীত হবে। অন্যদিকে সার্বভৌম কার্যক্রম আরও ভারসাম্যপূর্ণ ও বিভিন্নভাবে মাঝারি গতিতে প্রসারিত হবে।
পরবর্তী দশকে, এডিবি’র নিট আয় স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এডিবি এই আয়ের একটি অংশ বিভিন্ন প্রকল্পসহ ও মূলধন বাজারের মাধ্যমে টেকসই অর্থায়ন সংস্থানে উন্নয়নশীল সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তা করবে।
এডিবি বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, ডিজিটাল রূপান্তর এবং আঞ্চলিক সহযোগিতাসহ ভবিষ্যত কাজের দিকনির্দেশনার জন্য কার্যকরী পদ্ধতি প্রণয়ন করবে।
২০৩০ সালের জন্য এডিবি’র কর্পোরেট লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা নিশ্চিত করার জন্য এই উদ্যোগগুলো তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- জলবায়ু অর্থায়নের অংশ মোট প্রতিশ্রুতির ৫০ শতাংশ উন্নীত করা এবং বেসরকারি খাতে ২০৩০ সালের জন্য এডিবি’র নিজস্ব অর্থায়ন ও সরাসরি তহবিল উভয় থেকে মোট ১৩ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করা।
প্রতি বছর সিইউপি’র অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে, যাতে এই অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও অগ্রাধিকারের সামঞ্জস্যপূর্ণতা নিশ্চিত করা যায়।
এডিবি চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল ও টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।