ঢাকা, ১০ মার্চ ২০২৫ (বাসস) : সকল বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ৭১ এ আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে ধুলিস্যাত করে লুটপাটে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। জনগণের অধিকার বুঝিয়ে দেয়ার পরিবর্তে তারা অধিকার হরণে লিপ্ত হয়। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসেও একইভাবে জনগণের সকল অধিকার হরণ করা, অর্থ লুট করে বিদেশে পাচার করাসহ দেশকে অপকর্মের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিলো আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন তাদের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে বারুদে পরিণত হয়েছিল। যা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিস্ফোরিত হয়। ফলশ্রুতিতে হাসিনার মসনদ তছনছ হয়ে যায়। রাজনীতির এই পটপরিবর্তনের থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে জনগণের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আব্দুল লতিফ মাসুম।
আজ সোমবার আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) উদ্যোগে চলমান গণইফতার কার্যক্রমের ৯ম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডাঃ মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার এর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় গণইফতারে আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা.জাহেদুর রহমান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া, যুব পার্টির সদস্যসচিব হাদিউজ্জামান, এবি পেশাজীবী কাউন্সিলের আহ্বায়ক ওমর ফারুক, নেত্রকোনার আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মান্নান, গণঅধিকার পরিষদের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম আশরাফ।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ তার বক্তব্যে বলেন, গত বছর আমরা হাসিনাকে দেশ ছাড়াসহ আওয়ামী লীগকে খাম্বার সাথে বেঁধে রাখার কথা বলেছিলাম । তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা কি হাসিনাকে বিতাড়িত করতে পেরেছি? বর্তমানে যারা চাঁদাবাজি, লুটতরাজ করছে তাদেরকে মানুষ গ্রহণ করবে না। জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশের মালিক আপনারা এবং দেশটা কারো বাপের না। এবি পার্টির রাজনীতি মেহনতী মানুষের জন্য, আপনারা যাতে দুইবেলা পেটপুরে খেতে পারেন, রাস্তায় যাতে রাষ্ট্রের কাউকে ঘুমাতে না হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা.জাহেদুর রহমান বলেন, হাসিনার মতো কেউ ফ্যাসিস্ট হোক সেটা আমরা চাই না, আমরা আর নতুন কাউকে হাসিনা হতে দিবো না, লুটপাট, চাঁদাবাজি করতে দিবো না। যেই আসুক জনগণের কথায় কাজ করতে হবে, এদিক-সেদিক করলেই হাসিনার মতো টেনে নামানো হবে।
দিদারুল আলম ভূঁইয়া বলেন, আমরা পলিটিক্সে খারাপ কাজের প্রতিযোগিতা করি কিন্তু করার কথা ছিল ভালো কাজের প্রতিযোগিতা। নতুন বাংলাদেশে নতুন রাজনীতির বন্দোবস্ত করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মিনার চলমান ধর্ষণের ঘটনাকে পাশবিকতা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সেনা মোতায়েন স্বত্বেও এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিরাপত্তা না দিতে পারলে পদ ছাড়ুন, অলংকৃত করার জন্য ঐ পদে আপনাকে বসানো হয়নি। পতিত স্বৈরাচারের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, হাসিনা চ্যাপ্টার ক্লোজড, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র বাদ দেন।