কক্সবাজারে টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু করতে ইউএনডিপি ও জাপানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

বাসস
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ১৬:৫০
কক্সবাজারে টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু করতে ইউএনডিপি ও জাপানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর । ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ১১ মার্চ, ২০২৫ (বাসস): কক্সবাজারে ‘টেকসই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্প চালু করার জন্য জাপান সরকার ও জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) সোমবার একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।

ইউএনডিপি’র এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই উদ্যোগের লক্ষ্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা উন্নত করা,স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি উন্নত করা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী ও ‘আশ্রয়দাতা’ স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়ের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করা।

এই চুক্তির আওতায়, জাপান কক্সবাজারে ‘জরুরি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (এসডব্লিউএম)’ চাহিদা পূরণের জন্য ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করবে, যার ফলে ‘প্রায় ১,৬০,০০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী ও ‘আশ্রয়দাতা’ স্থানীয় সম্প্রদায়ের ৬০,০০০ সদস্য উপকৃত হবেন।

ঢাকায় জাপান দূতাবাসে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে জাপানের ভারপ্রাপ্ত চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তাকাহাশি নাওকি ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

তাকাহাশি আশা প্রকাশ করেন যে, জাপান সরকারের এই সহায়তা রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়ের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে।

আমি আশাবাদী যে, এই ব্যাপক কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়ের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়তা করবে। 

তিনি আরো বলেন, এই প্রকল্পটি জনগোষ্ঠীগুলোর সচেতনতা, জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি উপার্জনশীল কাজের সুযোগ তৈরি করবে- যার ফলে একটি স্বাস্থ্যকর, অধিক লাভজনক, লিঙ্গ-প্রতিক্রিয়াশীল, জলবায়ু-প্রতিরোধী ও পরিবেশ-বান্ধব সম্প্রদায় তৈরি হবে।

তাকাহাশি বলেন, ‘জাপান টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাবে এবং ইউএনডিপির মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করবে’।

স্টেফান লিলার অংশীদারিত্বের প্রভাব তুলে ধরে বলেন, ‘টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মানব কল্যাণ ও পরিবেশ সুরক্ষা উভয়ের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউএনডিপি ও জাপানের মধ্যে এই অংশীদারিত্ব, কেবল তাৎক্ষণিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাই করবে না, অধিকন্তু দীর্ঘমেয়াদী ও জলবায়ু-সহনশীল সমাধানগুলোকেও উৎসাহিত করবে- যা রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়ের জন্যই উপকারী। 

তিনি আরো বলেন, উদ্ভাবনী হস্তক্ষেপ ও সম্প্রদায়-চালিত পদ্ধতির মাধ্যমে কক্সবাজার জেলায় পরিষ্কার, স্বাস্থ্যকর ও অধিকতর টেকসই জীবনযাত্রার পরিবেশ তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য।

২০১৭ সালের আগস্টে জরুরি অবস্থা শুরু হওয়ার পর থেকে জাপান বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতিক্রিয়ার একটি অবিচল সমর্থক হয়ে আসছে।

এই নতুন তহবিলের মাধ্যমে ইউএনডিপি ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের এনজিওগুলোকে ২৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সহায়তা দিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ঐকমত্যের ভিত্তিতে সনদে স্বাক্ষর করে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা দরকার: আমির খসরু
স্থানীয় নির্বাচন দ্রুত প্রয়োজন: তোফায়েল আহমেদ
রাবি প্রেসক্লাবের নেতৃত্বে মাহিন ও মিশন
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাপানের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: রাষ্ট্রদূত
গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে: পিডিবি চেয়ারম্যান
এই মুহূর্তে রাজনৈতিক ঐক্য জরুরি : মির্জা ফখরুল
ফেনীর যুবলীগ নেতা চট্টগ্রামে গ্রেফতার
নগরীর যানজট নিরসনে হকার ব্যবস্থাপনা জরুরি : চসিক মেয়র
সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ
৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ প্রবেশ করা যাবে না
১০