ম্যাগনেটিক কয়েনসহ প্রতারক চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার

বাসস
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১৬:১৪
ম্যাগনেটিক কয়েনসহ প্রতারক চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার। ছবি: বাসস

ঢাকা, ২১ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : বিপুল পরিমাণ অর্থসহ ‘ম্যাগনেটিক কয়েন’ বা ধাতব মুদ্রা প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিট থেকে শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত রাজধানীর আদাবর থানা এলাকার প্রিন্স বাজার, শেখেরটেক, সূচনা কমিউনিটি সেন্টার ও কৃষি মার্কেটসহ অন্যান্য এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

আজ শুক্রবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান।

তিনি বলেন, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদাবর থানার একটি অভিযানিক দল উক্ত থানার বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নগদ অর্থ উদ্ধার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- ইফতেখার আহম্মেদ (৪৪), আবু নাঈম মো. ফাইজানুল হক ওরফে ডক্টর নাঈম (৪৮), মো. আব্দুল হালিম তালুকদার কুরাইশি (৪২) ও আবুল কালাম আজাদ (৪৬)।

এ সময় তাদের হেফাজত হতে চারটি ‘এন্টিক মেটাল কয়েন’ (প্রাচীন ধাতব মুদ্রা), একটি ৫০ লাখ টাকার ব্যাংক চেক, নগদ ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় আট মাস পূর্বে বাদি মিজানুর রহমানের বনানীস্থ অফিসে আসামি ইফতেখার আহম্মেদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেখানে ইফতেখার মিজানুর রহমানকে ‘এন্টিক মেটাল কয়েন’র ব্যবসা সম্পর্ক বিস্তারিত বর্ণনা করে প্রলোভন দেখিয়ে কয়েন ক্রয় করতে বলেন।

ইফতেখার আহম্মেদ তাকে বলে এই ব্যবসা সম্পর্কে তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে। সে আরো বলে, জাপান এবং ইউএসএ এর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এই কয়েনের প্রচুর চাহিদা আছে। তারা অতি উচ্চ মূল্যে কয়েনগুলো উক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহে বিক্রয় করে দিতে পারবে বলে জানায়।

এতে আরও জানানো হয় প্রলোভন দেখিয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর গুলশানের একটি হোটেলে ইফতেখার আহম্মেদ এবং বিদেশি কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে আবু নাঈম মো. ফাইজানুল হক ওরফে ডক্টর নাঈম এবং মো. আব্দুল হালিম তালুকদার কুরাইশি মিজানুর রহমানকে ডেকে নেয়।

তারা ধাতব কয়েনগুলোর প্রতিটির বাজার মূল্য আনুমানিক ২০ বিলিয়ন ইউএস ডলার হবে বলে তাকে ধারণা দেয়। তারা তাদের নিজস্ব ভুয়া কেমিস্ট মো. আব্দুল হালিম তালুকদার কুরাইশির মাধ্যমে ‘এন্টিক মেটাল কয়েন’ গুলোর সঠিকতা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বাদিকে একটি রিপোর্ট প্রদান করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ অক্টোবর ২০২৪ আদাবর থানাধীন জাপান গার্ডেন সিটির নিকটস্থ একটি ভবনে মিজানুর রহমান তাদের কাছে ‘এন্টিক মেটাল কয়েন’ ক্রয়ের জন্য অগ্রিম ৪৫ লাখ টাকা প্রদান করেন।

পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন সময়ে উক্ত এন্টিক মেটাল কয়েন ক্রয়ের জন্য তাদের চাহিদা মোতাবেক আরো ৭৫ লাখ টাকা নগদ এবং ৫০ লাখ টাকার ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ এর একটি চেক প্রদান করেন।

অবশেষে তিনি যাচাই-বাছাই করে জানতে পারেন যে, উক্ত ধাতব মুদ্রা ভুয়া এবং তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় মিজানুর রহমান বাদি হয়ে ডিএমপির আদাবর থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ভোলায় তোফায়েলের ছেলে বিপ্লব ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বিএমইউতে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি ট্রেনিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত
জলবায়ু সংকট উপকারী প্রজাতির প্রাণীর বিলুপ্তি ত্বরান্বিত করছে
গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন যেকোনো দিন : চিফ প্রসিকিউটর
চট্টগ্রামে জাহাজ থেকে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে নাবিক নিখোঁজ
ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২০ জুলাই
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে ৫ দিনব্যাপী ভর্তি মেলা শুরু
ঝালকাঠিতে ১০ শহীদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদান
চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব: অতিরিক্ত চিকিৎসাকর্মী চাইলেন রিইউনিয়নের হাসপাতাল প্রধান
উপদেষ্টার ভুয়া উক্তি নিয়ে নিউজের ছড়াছড়ি সনাক্ত : বাংলাফ্যাক্ট
১০