স্থানভিত্তিক ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন কার্যক্রম এগিয়ে চলছে

বাসস
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ১৯:০৪
ফাইল ছবি

ঢাকা, ২১ জুন, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-তে স্থানভিত্তিক ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং বিদ্যমান গবেষণাগার উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।

শনিবার গাজীপুরে ব্রি সদর দপ্তরে ‘নতুন ৬টি আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে স্থানভিত্তিক ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং বিদ্যমান গবেষণাগার উন্নয়ন (এলএসটিডি)’ শীর্ষক প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ধরা হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে নতুন আঞ্চলিক কার্যালয়ও স্যাটেলাইট স্টেশন স্থাপন, গবেষণা ল্যাব উন্নয়ন, ব্রি উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ দ্রুত কৃষক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রযুক্তি গ্রাম সৃষ্টি, স্থানীয়ভাবে জার্মপ্লাজম সংগ্রহ, ব্রি অবমুক্ত জাতের গড় ফলন বৃদ্ধিও লক্ষ্যে কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের বীজ উৎপাদন, বীজ প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণ, কার্যকরী গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের লক্ষ্যে ব্রি’র জনবলের উচ্চ শিক্ষা এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর ও দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মীসহ ব্রি’র জনবল এবং কৃষকের প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে।

ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা অনুবিভাগ) মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী। এসময়ে ব্রি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. রফিকুল ইসলাম এবং পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মুন্নুজান খানম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোফাজ্জল হোসেন।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে মিল রেখে স্থান ভিত্তিক ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও উন্নয়নসহ ব্রি’র মূল গবেষণা কার্যক্রমকে সহায়তা করাই এলএসটিডি প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। আঞ্চলিক কার্যালয় এবং স্যাটেলাইট স্টেশন স্থাপন ছাড়াও এ প্রকল্পের উদ্দেশ্যেও মধ্যে রয়েছে স্থান ভিত্তিক ৬টি নতুন জাত এবং ২০টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন।

এতে আরও বলা হয়, স্থান ভিত্তিক সমস্যা নিরূপণ (কৃষিতে অনগ্রসর দক্ষিণাঞ্চল ও পাহাড়ি এলাকাসহ) কার্যকরী সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ এবং প্রয়োগিক গবেষণা জোরদারকরণ। ব্রি’র বিদ্যমান ১১টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের গবেষণা ল্যাব জোরদারকরণ এবং প্রস্তাবিত আঞ্চলিক কার্যালয়ে গবেষণা ল্যাব উন্নয়ন। সারা দেশে মোট ১৫টি ‘প্রযুক্তি গ্রাম’ সৃষ্টির মাধ্যমে ব্রি উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সমূহ দ্রুত সময়ে কৃষক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।

মূল প্রবন্ধে প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরে জানানো হয়, ১টি জাতের উদ্ভাবন প্রক্রিয়াধীন এবং ৫টি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কাজ চলমান।

এছাড়াও ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় প্রাথমিক ভাবে ১৫টি প্রযুক্তি গ্রাম নির্বাচন করা হয়েছে।

প্রযুক্তি গ্রামগুলোতে ‘সার্ভিস প্রোভাইডার’ নির্বাচন করে ব্রি উদ্ভাবিত প্রযুক্তির প্রদর্শনী এবং কৃষকদের প্রযুক্তি বিষয়ক কলা কৌশল গত সেবা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।

ব্রি উদ্ভাবিত উফশী আমন জাতের ধান চাষাবাদে উদ্বুদ্ধকরণে স্থানীয় কৃষকদের জন্য ১৬৫টি মাঠ দিবস ও ফসল কর্তন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
স্বৈরাচার সরকার উন্নয়নের নামে দেশের পরিবেশ ধ্বংস করে দিয়েছে : ড. আব্দুল মঈন খান
জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসে এনআইডি সেবা চালু
বুটেক্সিয়ান সোসাইটির ‘নির্মমতার আঁতুড়ঘর: প্রসঙ্গ বুটেক্স ছাত্রলীগ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই আসল সমাজকর্মী ও সংস্কারক: এমরান সালেহ প্রিন্স
লালবাগে ডিএমপির অভিযানে ১৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড
আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হবে : ডিএমপি কমিশনার
জনগণ পিআর পদ্ধতির সাথে পরিচিত নয় : রিজভী
কমলছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন পার্বত্য উপদেষ্টার
ইসরাইলকে গাজার নাগরিকদের ‘মৌলিক চাহিদা’ নিশ্চিত করতে হবে : রেডক্রস
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলে নুরুল-সাইফ; নেই মিরাজ
১০