ঢাকা, ১৭ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদরা এদেশের মানুষকে বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাকস্বাধীনতা, বৈষম্যরোধ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লক্ষ্য নিয়ে এ অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে তার মূল স্পিরিট আমাদের ধারণ করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা, দোয়া ও জুলাই আহতকে আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মো. শামছুল আলম আরও বলেন, শহীদদের আত্মত্যাগ কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়। বরং সকল ভেদাভেদ দূরে ঠেলে দিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সকল ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এবং এদেশের মুসলমানদের আশা আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সততার সঙ্গে সকলকে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার মো. আইউব হোসেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু জাফর খান, ট্রেজারার এ এস এম মামুনুর রহমান খলিলী ও কামিল (স্নাতকোত্তর) শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ অলী উল্যাহ, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শাযাআত উল্লাহ ফারুকী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. মো. রফিক আল মামুন, উপ-রেজিস্ট্রার ফাহাদ আহমদ মোমতাজী, উপ-পরিচালক মো. জিয়াউর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে জুলাই শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা ঢাকা আলিয়া মাদরাসার ফাজিল ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী হাবিব উল্লাহ হামিমকে তার চিকিৎসা খরচ বাবদ ২ লাখ টাকার অনুদান চেক প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর।
অনুষ্ঠান শেষে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদকে উৎসর্গ করে ‘শহীদ আবু সাইদ গ্রন্থাগার’ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের নামকরণ করা হয়।
পরে সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।