ঢাকা, ২৩ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য কমিটি গঠন এবং পদ্ধতি সংবিধানে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করার বিষয়ে জোরালো মত দিয়েছে এবি পার্টি।
তিনি বলেন, ‘শুধু নির্বাচন কমিশনই নয়, সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়াই সংবিধানে অন্তর্ভুক্তি চায় এবি পার্টি।’
আজ বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা জানান ।
আলোচনায় এবি পার্টির পক্ষ থেকে আরও অংশগ্রহণ করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক।
মজিবুর রহমান মঞ্জু আরও জানান, ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমহের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আজকে আলোচনা হয়।
এর আগে কমিশনের পক্ষ থেকে এনসিসি’র মাধ্যমে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা থেমে যায়।
তিনি বলেন, আজকে কমিশনের পক্ষ থেকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়োগ নিয়ে একটি একটি করে আলোচনা করা হয়।
মঞ্জু আরও বলেন, শুরুতেই নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়। বিএনপি আগের অবস্থান থেকে সরে এসে নির্বাচন কমিশনের গঠন সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছেন।
এটিকে আজকের দিনের আশাব্যঞ্জক খবর হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান আরো জানান, এবি পার্টির পক্ষ থেকে আমরা দুর্নীতি দমন কমিশন, পিএসসি ও মহাহিসাব নিরীক্ষকসহ যাবতীয় সাংবিধানিক নিয়োগ প্রক্রিয়া সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছি। এখানে ২-৩টি দল বাদ দিয়ে অধিকাংশ দল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত চায়। সাংবিধানিক নিয়োগসমূহের পদ্ধতি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত থাকলে, ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে।
ব্যারিস্টার সানী আবদুল হক বলেন, রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামোগুলোর পুনর্গঠনের স্বার্থে দলীয় অবস্থানের ঊর্ধে উঠে রাষ্ট্রীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে।
এটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিয়োগের ব্যাপারে সর্বসম্মতভাবে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।
মিডিয়া ব্রিফিংকালে এবি পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব বারকাজ নাসির আহমদ ও পল্টন থানা আহ্বায়ক আবদুল কাদের মুন্সী।