গাজীপুর, ২৩ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে ফিড কোম্পানির সিনিয়র ম্যানেজার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (৪৮) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
তাদেরকে গতকাল দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টায় গাজীপুরের গাছা থানার কুনিয়া মোতালেব মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. নয়ন (২১) ও মো. আল আমিন (১৯)।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, রফিকুল ইসলাম কোনাবাড়ীর আমবাগ এলাকায় পরিবারসহ বাস করতেন। গত ২৭ মে তার স্ত্রী ও ছেলে গ্রামের বাড়িতে যান। তিনি একা বাসায় ছিলেন। ২০ জুলাই সকাল থেকে মোবাইলে যোগাযোগ করে না পেয়ে তার ছেলে রাতুল আহমেদ সহকর্মীদের বাসায় পাঠান। বাসার দরজা তালাবদ্ধ পেয়ে বাড়িওয়ালার উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে রক্তাক্ত অবস্থায় রফিকুলের মরদেহ খাটের উপর পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে কোনাবাড়ী থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পরে পিবিআই অধিগ্রহণ করে এসআই সনজিৎ বিশ্বাসের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, ভিকটিম রফিকুল ইসলামের সঙ্গে তাদের পূর্বপরিচয় ছিল। তিনি সমকামী স্বভাবের ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি দুই আসামিকে ৫ হাজার টাকায় ডেকে আনেন শারীরিক সম্পর্কের জন্য। কাজ শেষে টাকা চাইলে রফিকুল ভিডিও দেখিয়ে তাদের ব্ল্যাকমেইল করার হুমকি দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আল আমিন তার সঙ্গে থাকা চাকু দিয়ে গলা ও উরুতে আঘাত করে রফিকুলকে হত্যা করে। পরে তারা ঘরের মানিব্যাগ ও মাটির ব্যাংক থেকে কিছু টাকা এবং মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। মোবাইল ও চাকুটি তারা কড্ডা ব্রিজ এলাকায় ফেলে দেয়।
পরে আদালতে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
পিবিআই পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন,“এটি একটি নৃশংস হত্যাকান্ড। আমরা তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। আসামীদ্বয় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।