ঢাকা, ৩০ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পল্লবী জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুল হাসান ফিরোজের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে করা এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান- দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন ।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, নাজমুল হাসান ফিরোজ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের ও স্ত্রীর নামে মোট ২ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার ৭৩১ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। অথচ তার বৈধ আয় ছিল মাত্র ৫৭ লাখ ৯ হাজার ৮১১ টাকা। ফলে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার ৯২০ টাকা।
এদিকে, তার মা, ছোটভাই ও শ্বশুরসহ পাঁচজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী আদেশ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ দখল ও অস্বাভাবিক ব্যাংক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক।
দুদক জানায়, এএসপি নাজমুলের ছোটভাই মো. এনামুল হোসাইনের স্থাবর/অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ৪২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা, ব্যাংক লেনদেন ৮৩ কোটি ৩৩ লাখ ২৩ হাজার ৩১৬ টাকা, তার মা নাজমা বেগমের স্থাবর/অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৭ কোটি ৯৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ব্যাংক লেনদেন ৬৫ কোটি ৮০ লাখ ১০৭ টাকা। তার মামাতো ভাই মো. নিজাম উদ্দিন পান্নার স্থাবর/অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৭০ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ব্যাংক লেনদেন ২৬ কোটি ৩১ লাখ ৯৯ হাজার ৮১৫ টাকা।
এদিকে তার শ্বশুর এ.কে.এম ছায়াদত হোসেন বকুলের স্থাবর/অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৬ কোটি ২২ লাখ টাকা, ব্যাংক লেনদেন ৬৬ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ৯০৮ টাকা এবং শ্বশুরের ব্যবসায়িক অংশীদার মো. মোস্তফা খান স্থাবর/অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি টাকা, ব্যাংক লেনদেন ১২০ কোটি ৬৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮১৮ টাকা।
দুদক জানায়, তদন্তকালে আসামির নামে বা বেনামে অন্য সম্পদের খোঁজ মিললে সেগুলোও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।