ঢাকা, ১০ আগস্ট, ২০১৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জিডিপির ৫ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে এবং ৫ শতাংশ শিক্ষাখাতে ব্যয় করা হবে। এ ছাড়া প্রথম ১৮ মাসে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
আজ রোববার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সিরিয়াস ডি-রেগুলেশন না করলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়বে না এবং অর্থনীতি সঠিক পথে এগোবে না উল্লেখ করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশে রেস্টুরেন্টের লাইসেন্স নিতে ১৯টি অনুমতি লাগে। এ ধরনের জটিলতা বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করে।
সবাইকে সাংঘর্ষিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বক্তব্যের মাধ্যমে বিষোদ্গার বন্ধ করতে হবে। গণতন্ত্র মানে অন্যজনের কথা শুনে সহ্য করা, তার মতকে সম্মান দেওয়া। মানুষের কথা বলার সুযোগ অব্যাহত থাকলে আপনা-আপনিই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের পতনের পর বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতে বিশাল পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তন বুঝতে না পারলে কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি টিকতে পারবে না।’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘বিপ্লবোত্তর যে দেশ দ্রুত নির্বাচন করেছে, তারা ভালো করেছে; যারা দীর্ঘ সময় নিয়েছে, সেখানে অন্তর্কোন্দল বেড়েছে।’
জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের বাজেট অব্যাহত না রেখে বরং অন্তর্বর্তী সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট দেওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।