ঢাকা, ২৬ আগস্ট, ২০২৫, (বাসস): রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তর একযোগে একাধিক মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেছে।
আজ মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধনের দায়ে ৩৪টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) ৭ ধারা অনুযায়ী মোট ৪১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপ করেছে।
ঢাকার রামপুরা ব্রিজ এলাকায় ১০টি ডিজেলচালিত বাস ও ট্রাকের গ্যাস নিঃসরণমাত্রা পরিমাপ করা হয়।
এরপর পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও ৫টি মামলা দায়ের করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং-এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আশিক আহমেদ অভিযান পরিচালনা করেন। প্রসিকিউটরের দায়িত্বে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা গবেষণাগারের জুনিয়র কেমিস্ট মো. মাহবুর রহমান। এসময় পুলিশ বাহিনী এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, মোহাম্মদপুর এলাকায় নির্মাণসামগ্রীর মাধ্যমে সংঘটিত বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে পৃথক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০২২ এর বিধি ১১(ঙ) লঙ্ঘনের দায়ে দু’টি মামলায় মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তুষার কুমার পাল। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী খন্দকার গৌরব মুস্তাফ প্রসিকিউটরের দায়িত্বে ছিলেন।
একই দিনে ঢাকায় বিআরটিএ’র সঙ্গে যৌথ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এতে ৩১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায়, ১০টি মামলা দায়ের এবং একটি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়। এ কোর্ট পরিচালনা করেন বিআরটিএ’র এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান।
এছাড়া, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড্ডা, কামদাল, বারপাড়া ও বন্দরে পরিবেশ অধিদপ্তরের বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র সহকারী সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার দাসের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মোবারক হোসেন প্রসিকিউশন প্রদান করেন।
দূষণকারী প্রতিষ্ঠান ইয়াং ইউয়ান কোং লিমিটেডের বিরুদ্ধে ২ লাখ টাকা জরিমানা, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও এইচ টি ক্যাবল জব্দ করা হয়। পাশাপাশি, পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর না করা পর্যন্ত কারখানা পরিচালনা না করার শর্তে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ মুচলেকা প্রদান করে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বায়ুদূষণ রোধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে।