রাজশাহী, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কার্যক্রম রোববার শেষ হয়েছে।
সহসভাপতি (ভিপি) পদে ২০ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৫ জন ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক এজিএস পদে ১৬ জনসহ বিভিপন্ন পদে মোট ৩২২ জনের মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।
সিনেট সদস্যের ৫ পদের জন্য ৬২ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৭ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। দুপুরের পরে বাড়তি চাপ থাকার জন্য নির্ধারিত সময়ের পরেও কয়েকজন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে ছাত্রসংগঠনগুলো নিজস্ব প্যানেল নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে আসেন। স্বতন্ত্র হিসেবে যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তারা এসেছিলেন বন্ধু বা সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর প্রার্থীরা প্রায় সকলেই নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ ও সবার জন্য সমান সুবিধা দেওয়ার দাবি করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে নিজেদের প্যানেল ঘোষণা করেছে রাবি শাখা ছাত্রদল ও রাবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এই প্যানেল ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান। ঘোষিত প্যানেল অনুযায়ী, ভিপি পদে রাবি শাখার সহ-সভাপতি শেখ নূর উদ্দিন আবির, জিএস পদে রাবি শাখার দপ্তর সম্পাদক নাফিউল ইসলাম জীবন এবং এজিএস পদে রাবি শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিন বিশ্বাস এষা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
অপরদিকে, নির্বাচনে অংশ নিতে ২৩ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। রোববার বিকেলে রাকসু কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় শিবিরের সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মোহাইমিন। ঘোষিত প্যানেলের নাম দেওয়া হয়েছে সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট।
ঘোষিত প্যানেলে ভিপি পদে রয়েছেন মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। জাহিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি। জিএস পদে প্রার্থী হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা। এজিএস পদে রয়েছেন সোচ্চার স্টুডেন্ট নেটওয়ার্কের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সাব্বির।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি প্রধান ছাত্র সংগঠন তাদের প্যানেল ঘোষণা করেছে। উভয় সংগঠন নিজেদের প্যানেলকে বিজয়ী করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।
রাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ নজরুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যেসব প্রস্তুতি নেওয়া দরকার তা করা হবে। কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্বের সুযোগ নেই। সবার সহযোগিতায় একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।