বাসস
  ১৭ আগস্ট ২০২৩, ২০:১১

তামিমের শূন্যস্থান পূরণে বদ্ধপরিকর তানজিদ

ঢাকা, ১৭ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : অভিজ্ঞ তামিম ইকবালের অনুপস্থিতির অভাব পূরণের চাপ না নিয়ে বয়স-ভিত্তিক ক্রিকেটে যে পন্থায় খেলে সাফল্য পেয়েছেন, সেই স্বাভাবিক খেলাটি খেলতে চান তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। 
তামিমের সাফল্যের কথা বলে দেয় তার রেকর্ড। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম ভরসাও তিনি। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ^কাপ জয়ী দলের সদস্য  তারজিদ বেশ ভাল করেই জানে,এই পর্যায়ে উন্নতির জন্য চাপ এবং চ্যালেঞ্জ দু’টোই  থাকবে।
কিন্তু এই চাপকে সামাল দেওয়ার জন্য যথেষ্ট পরিপক্ক কভার ড্রাইভে পটু তানজিদ। আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের রুদ্ধদ্বার অনুশীলনের শেষ দিন তানজিদ বলেন, ‘আমরা এমন একটি পেশায় আছি, যেখানে চাপ খুবই স্বাভাবিক বিষয়। ম্যাচে আমরা বিভিন্ন ধরনের চাপ ও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ি। যত দ্রুত সম্ভব আমরা এটির সাথে মানিয়ে নিতে পারবো তত তাড়াতাড়ি ভাল ক্রিকেট খেলতে পারবো।’
নিজের ডাক নামে হওয়া সিনিয়র তামিমকে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আইডল হিসেবে মনে করেন তানজিদ। ছোটবেলা থেকেই সিনিয়র তামিমে অনুপ্রাণিত হয়েছেন জানান তিনি।
তানজিদ বলেন, ‘অবশ্যই তামিম ভাই সবার কাছে আইডল। আমি তাকে দেখেই বড় হয়েছি। আমি আমার সেরাটা দেওয়া  এবং জায়গা ধরে রাখার চেষ্টা করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, ছোটবেলায় তার খেলা দেখে বড় হয়েছি। তার নামের সাথে আমার নামের মিল থাকার কারনে আমি তার খেলা দেখে আরো বেশি  অনুপ্রাণিত হয়েছি। এজন্যই অন্য সবার চেয়ে তার খেলা বেশি দেখেছি। আমাদের সবার জন্য আইডল সে। আমি তার খেলা দেখে অনেক কিছু শেখার চেষ্টা করি। যেমন চাপের মধ্যেও কিভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রন করতে হয় এবং কিভাবে খেলতে হয়। অবশ্যই সে অনুপ্রেরণা দেয়। তার সাথে সাক্ষাতে  সবকিছু নিয়েই  কথা হয়।’
তামিমের মত ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ওপেনার হিসেবে পরিচিত তানজিদ। ক্রিকেট যে গতিতে এগোচ্ছে তাতে খুব স্বাভাবিকভাবেই ধারনা করা হচ্ছে  তানজিদের আক্রমনাত্মক শুরু বাংলাদেশকে একটি নতুন মাত্রা দিবে। 
অনূর্ধ্বূ-১৯ পর্যায়ের ক্রিকেটে ১০২ স্ট্রাইক রেটে রানের ফুলঝুড়ি ফুটিয়েছেন তানজিদ। দ্রুত রান তোলায় ভারতের শুভমান গিলের পরই আছেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ধরে রাখতে ব্যর্থ হন এ উঠতি তারকা। ১শর উপরে স্ট্রাইক রেটে তিনটি হাফ-সেঞ্চুরিতে তানজিদ দেখিয়েছেন, আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই তার জন্য সেরা বিকল্প।
তানজিদ জানান, টিম ম্যানেজমেন্টের দেওয়া স্বাধীনভাবে খেলার ফর্মুলায় উৎসাহিত তিনি। 
তানজিদ বলেন, ‘এশিয়া কাপের জন্য ম্যাচের আবহে অনুশীলন ম্যাচ খেলেছি আমরা। শ্রীলংকার কন্ডিশনে ৩শর বেশি রান হবে এমনটা মনে করিয়ে দেয়ার কারনে আমরা পরিস্থিতি অনুযায়ী অনুশীলন করেছি। আমরা টার্গেট স্পর্শ করার চেষ্টা করছি। সকলেই সফল হয়েছে বলে বিশ^াস তার।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় দলে আসার পর কোচ একবার বলেছিলেন, এতদিন যেভাবে খেলছো সেভাবেই খেলা চালিয়ে যাওয়া উচিত, এটাই  তোমার স্বাভাবিক খেলা। তিনি বলেন, যদি কোন সমস্যা হয়, তাহলে আমার সাথে কথা বলবে।’
প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কাছ থেকে যে পরামর্শ পেয়েছেন সেটিও জানিয়েছেন তানজিদ। তিনি বলেন, ‘কোচ বলেছেন, যেরকম খেলছো সেরকমই খেলো। তোমার  সহজাত খেলাটাই খেলো। খুব বেশি তাড়া করার চেষ্টা করো না। শুধু এটুকুই।’
কিন্তু নিজের খেলার ধরণকে আক্রমণাত্মক হিসেবে গন্য না করে, ব্র্যান্ড অব ক্রিকেটে ইতিবাচক থাকতে চান তানজিদ। তিনি বলেন, ‘ব্যাটিংকালে  আমার মনের মধ্যে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার চিন্তাই থাকে। অনেকেই বলেন, আমি আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলি কিন্তু সেরকম কিছু নয়। আমি স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করি এবং আমার শক্তির জায়গায় বিশ্বাস রাখি এবং সবসময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি।’