বাসস
  ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:৫৭

আগামী মৌসুমে ছোট ক্লাবগুলো উয়েফা থেকে বেশী লভ্যাংশ পাবে

লসানে, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস/এএফপি) : ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে না পারা ছোট ক্লাবগুলো আগামী বছর থেকে উয়েফার লভ্যাংশের বেশী পরিমান পাবে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। এ ব্যপারে বুধবার নতুন একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। 
ইউরোপীয়ান ক্লাব এসোসিয়েশন (ইসিএ) ও উয়েফার মধ্যে নতুন এই চুক্তি হয়, যা ২০২৪ সাল থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বহাল থাকবে। এই চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপীয়ান ক্লাব ফুটবলের দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ীত্ব ও টেকসই উন্নয়নকে শক্তিশালী করবে বলে এক বিবৃতিতে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে  আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। 
২০২৪ সাল থেকে নতুন ফর্মেটে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগ ও কনফারেন্স লিগ আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আকর্ষণীয় এই ফর্মেটে গ্রুপ পর্বের পরিবর্তে দলগুলো মিনি-লিগ পদ্ধতিতে একে অপরের সাথে মোকাবেলা করবে। এ কারনেই সার্বিক দিক বিবেচনায় একটি পরিবর্তন জরুরী ছিল। বিশেষ করে ছোট ক্লাবগুলোর দিকে বাড়তি নজড় দেয়ার বিষয়টি অনেকদিন থেকেই উয়েফার এজেন্ডায় ছিল। 
নতুন পরিস্থিতিতে যে সমস্ত ক্লাব ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেনা তারা মোট লভ্যাংশের ৭ শতাংশ পাবে। এই আয় মূলত টেলিভিশন স্বত্ব থেকে আসবে। বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী ছোট ক্লাবগুলো এতদিন পর্যন্ত চার শতাংশ লভ্যাংশ পেত।
উয়েফা জানিয়েছে সব মিলিয়ে প্রতি মৌসুমে ক্লাবগুলো প্রায় ৪৪০ মিলিয়ন ইউরো বাড়তি হিসেবে পাবে।  সব মিলিয়ে এর পরিমান দাঁড়াবে ১.৩২ বিলিয়ন ইউরো। 
বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়া ক্লাবগুলোর জন্য লভ্যাংশের পরিমান আগের মত তিন শতাংশই রয়েছে। এছাড়া তিনটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া সব ক্লাবের জন্য এই পরিমান অপরিবর্তিত রয়েছে। 
উয়েফা তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘নতুন পদ্ধতিতে অংশগ্রহনকারী প্রতিটি দলের উপর গুরুত্ব দিয়ে অংশগ্রহণ বাবদ সকলকে ২৫ শতাংশ থেকে শেয়ার প্রতি ২৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। পারফরমেন্স বোনাস হিসেবে ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে।’
তবে আগামী মৌসুম থেকে ক্লাবগুলোর হোম ম্যাচে টেলিভিশন স্বত্ব ও প্রতিটি ক্লাব ঐতিহাসিক পারফরমেন্সের ভিত্তিতে শেয়ারের পরিমান ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে।
উয়েফা জানিয়েছে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তারা কিছুদিনের মধ্যেই প্রকাশ করবে। 
উয়েফা এবং ইসিএ’র মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এসব ব্যপার নিয়ে বিতর্ক চলে আসছিল। নতুন পদ্ধতিতে কিছুটা হলেও বিরোধের প্রশমন হবে বলে উভয় পক্ষ আশাবাদী।