বাসস
  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:১৬

গত মৌসুমে ইউরোপে একজন ম্যানেজারের গড় মেয়াদ ছিল ১৬ মাস : উয়েফা

প্যারিস, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (বাসস/ওয়েবসাইট) : গত মৌসুমে পুরো ইউরোপ জুড়ে একজন ম্যানেজারের গড় মেয়াদ ছিল ১৬ মাসেরও কম, এমন তথ্য প্রকাশ করেছে ইউরোপীয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা। 
২০২২-২৩ মৌসুমে ইউরোপে সব মিলিয়ে শীর্ষ লিগে ৭৩৫ জন ম্যানেজার তাদের চাকরি হারিয়েছেন, যা ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড ১৫ জন স্থায়ী ম্যানেজার পরিবর্তন হয়েছেন। 
রিপোর্টের তথ্য মতে পুরো ইউরোপে ১২০৯ জন ম্যানেজার শীর্ষ ক্লাবগুলোতে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ পাঁচ বছর কিংবা তার বেশী সময় ধরে দায়িত্ব ধরে রেখেছেন। ২০২২-২৩ মৌসুমে ইউরোপের ৪৮টি শীর্ষ লিগে একজন ম্যানেজারের গড় মেয়াদ ছিল ১.৩১ বছর, ২০১৮ সালে ১.৩ বছরের পর যা সর্বনি¤œ। ওয়েলস, নর্দান আয়ারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডসহ মাত্র ছয়টি দেশে কোচদের গড় মেয়াদ ছিল দুই বছরের বেশী। 
গত এক দশকে ২০১৬ সালে গড়ে সবচেয়ে কম ১.২৯ বছর কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন কোন ম্যানেজার। ২০১৩ সালে এর মেয়াদ ছিল ১.৪৪ বছর। এর মাধ্যমে ফুটবলে কোচদের একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চিত্রই প্রকাশ পেয়েছে। 
২০২০-২১ মৌসুমে সবচেয়ে বেশী ৭৬৩ জন কোচ চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন। যদিও উয়েফার মতে ঐ সময় কোভিড মহামারীর কারনে ক্লাবগুলো পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে উঠতে কঠিন সময় পার করেছে। ক্লাবের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধের জেড়েই বেশীরভাগ কোচ চাকরি হারিয়েছিলেন। 
গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ২০ ক্লাবে মোট ৪১ জন ম্যানেজার কাজ করেছেন। এর মধ্য ছয়টি ক্লাব তিনজন করে ম্যানেজার কাজে লাগিয়েছেন, এমনও হয়েছে মাত্র এক মাচ পরেই কোচ বরখাস্ত হয়েছেন। চেলসি ও লিডসে কাজ করেছেন চারজন করে কোচ। 
ইউরোপীয়ান শীর্ষ পাঁচ লিগে সবচেয়ে বেশী ৫৫ শতাংশ কোচ পরিবর্তন হয়েছে প্রিমিয়ার লিগে। ফ্রান্স ও স্পেনে এর পরিমান ৫০ শতাংশ, জার্মানীতে ৪৪ শতাংশ ও ইতালিতে ৩৫ শতাংশ। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ২২ জন অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। ফ্রান্সের সাথে যৌথভাবে যা সর্বোচ্চ ছিল। ইতোমধ্যেই এ মৌসুমে একজন ম্যানেজার পরিবর্তন হয়েছেন। আগস্টে মৌসুমের শুরুর মাত্র এক সপ্তাহ আগে উল্ফস থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন জুলেন লোপেতেগুই। তার স্থানে ক্লাবের দায়িত্ব পেয়েছেন গারি ও’নেইল।