বাসস
  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:১৭
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:২০

ফাস্ট বোলাররা ও এশিয়া কাপ শিরোপা ভারতকে আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে : রোহিত  

কলম্বো, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (বাসস/এএফপি) : মোহাম্মদ সিরাজের অসাধারণ বোলিং নৈপুন্য  এবং একই সাথে  গতকাল শ্রীলংকাকে হারিয়ে অস্টম বারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা জয়, আসন্ন বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে।
কলম্বোয় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ফাইনালে রোববার সিরাজ ২১ রানে ৬ উইকেট  শিকার করে ধ্বসিয়ে দেন লংকান ব্যাটিং। যার সুবাদে স্বাগতিক দলের ছুড়ে দেয়া ৫০ রানের টার্গেট মাত্র ১৫.২ ওভারেই টপকে যায় ভারত। ফলে ১০ উইকেটে জয় পায় তারা।
জসপ্রিত  বুমরাহ ও স্পিনার কুলদীপ যাদবের নেতৃত্বে ভারতীয় বোলিং এখন ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দাঁড়িয়ে গেছে। যা ৫ অক্টোবর ভারতে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে টনিক হিসেবে কাজ করবে।
মাত্র  ১১৬ মিনিট খেলেই এশিয়া কাপ  শিরোপা জয়ের পর রোহিত সাংবাদিকদের বলেন,‘ এ ধরনের একটি টুর্নামেন্টের শিরোপা জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। টুর্নামেন্টে বিভিন্ন পর্যায়ে, ম্যাচের  বিভিন্ন পর্যায় , বিভিন্ন কন্ডিশন, বৈচিত্র্যময় বোলিংয়ের বিপক্ষে  আমাদের চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে।’
 ভারতীয় অধিনায়ক বলেন,‘ এই টুর্নামেন্ট থেকে শুধু এক বা দুইজন খেলোয়াড় নয়, গোটা স্কোয়াডই ইতিবাচক অনেক কিছু নিয়ে যাচ্ছে। তারা নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছে।
গতকাল বৃস্টির কারণে কিছুটা দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া লংকান ব্যাটারদের ধ্বসিয়ে দেন সিরাজ। পিচের সুবিধা কাজে লাগিয়ে এক ওভারেই তুলে নেন চার উইকেট। দাপটের সাথে ৭ ওভার বল করা সিরাজ ম্যাচ সেরা এবং টুর্নামেন্টে সর্বমোট ৯ উইকেট নেয়া কুলদীপ টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার লাভ করেন।  
রোহিত বলেন,‘ এমন বোলার এবং বোলিং দেখে আমি মুগ্ধ। আমার মনে হয় ফাস্ট বোলিং এমন একটি বিষয় যা অধিনায়কদের দারুনভাবে গর্বিত করে। আসলে দলের পাঁচ বোলারের সবারই দারুন দক্ষতা এবং বৈচিত্র্য রয়েছে। একজন অধিনায়ক হিসেবে আপনি যখন এমন সবকিছুই পাবেন তখন আস্থা অনুভব করবেন।’
সুপার ফোর পর্বে চির প্রতিদ্বন্দ্বি পাকিস্তানের বিপক্ষে ২২৮ রানে জয় পাওয়া ম্যাচে মাত্র ২ উইকেটে ৩৫৬ রান করেছিল ভারত। আর শ্রীলংকার বিপক্ষে ২১৩ রান করে জয় নিশ্চিত করে ফাইনালে উঠেছিল ভারত।  
রোহিত বলেন,‘ এখানকার পিচ  ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং ও অপ্রত্যাশিত। এমতাবস্থায় সিরাজের কথা উল্লেখ করতেই হয়। শুকনো পিচে বল ঘুরাতে পারাটা বিশেষ এক দক্ষতা। চাপের মধ্যেও ছেলেরা দৃঢ়তা দেখিয়েছে এবং পারফর্ম করেছে। বোলারদের ক্ষেত্রেও একই। পুরো টুর্নামেন্টেই আমাদের ফিল্ডিং ছিল দুর্দান্ত। ’
বিশ্বকাপে লড়াইয়ে নামার আগে নিজেদের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে ভারত। আগামী ৮ অক্টোবর অসিদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে তারা।