বাসস
  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:৫১

এশিয়াড : পাকিস্তানের কাছে ৫-২ গোলে হারল বাংলাদেশ হকি দল

হাংজু, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (বাসস) : জাপানের পর এবার পাকিস্তানের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ জাতীয় হকি দল। আজ চীনের গুয়াংশু কানাল পার্ক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ১৯তম এশিয়ান গেমসের হকিতে লিড নিয়েও উপমহাদেশীয় প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের কাছে ৫-২ গোলে হেরে গেছে জিমি, মিলন ও মিমোদের দল।
প্রথম কোয়ার্টার গোলশূণ্য থাকলেও দ্বিতীয় কোয়ার্টারে পুস্কর ক্ষিসা মিমো পেনাল্টি কর্ণার থেকে গোল করে এগিয়ে দেন বাংলাদেশ হকি দলকে। অবশ্য প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলের সমতায়।
চতুর্থ কোয়ার্টারে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন মিলন। অপরদিকে পাকিস্তানের হয়ে গোল করেছেন যথাক্রমে মোহাম্মদ সুফিয়ান, আরবাজ আহমেদ, মুহাম্মদ আমমাদ, মোহাম্মদ শাহজাইব ও আফরাজ। গেমসে হকি ইভেন্টে বাংলাদেশ   টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পরাজিত হলো। প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী জাপানের কাছে ৭-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। 
এদিকে  শুটিংয়ে দশ মিটার এয়ার রাইফেলের মিক্সড টিম ইভেন্টে  ২১ দেশের মধ্যে ৬২৫.৮ স্কোর করে  নবম হয়েছে বাংলাদশে। রবিউল ইসলাম ৩১১.৫ ও শায়রা আরেফিনের স্কোর ছিল ৩১৪.৩।
ফুইয়াং ইনহু স্পোর্টস সেন্টারে সেরা ছয় দল চূড়ান্ত পর্বে ওঠেছে। ষষ্ঠ হওয়া ভারতীয় দলের স্কোর ছিলো ৬২৮.২। এই ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছে চীন। এছাড়া  উজবেকিস্তান রৌপ্য এবং কাজাখস্তান ও দক্ষিণ কোরিয়া ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছে।
ফেন্সিংয়ে ব্যক্তিগত ইভেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছেন বাংলাদেশের ফাতেমা মুজিব ও রোকসানা খাতুন। পুল থ্রি থেকে ফাতেমা মুজিব প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের শ্রীনুলান্ধ বান্ধুতার বিপক্ষে দারুণ লড়াই করে হেরে যান ৫-৪ পয়েন্টে। বাকি চার ম্যাচেও দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং ও চীনের কছে হেরে যান এস এ গেমসে স্বর্ণজয়ী এই ফেন্সার।
অন্যদিকে পুল ফোর থেকে রোকসানা খাতুন পাঁচ ম্যাচে হার মেনে বিদায় নিয়েছেন ব্যক্তিগত ইভেন্ট থেকে। তার সেরা লড়াই ছিলো সৌদি আরবের আলহাম্মাদ আল হাসনার বিপক্ষে। তার কাছে  ৫-৪ পয়েন্টের পরাজিত হন রোকসানা।
এ দিকে, ১৯তম এশিয়ান গেমসে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুমিনুল হক সাঈদকে দেখতে আজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা ও বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের শেফ দ্য মিশন এ কে সরকার। রোববার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাংজুর একটি হাসপাতালে ভর্তি হন সাঈদ। সেখানে তার হৃদযন্ত্রে রিং পড়ানো হয়েছে।