বাসস
  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:২১

বিসিবির বিরুদ্ধে তামিমের অভিযোগ

ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (বাসস) : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডই (বিসিবি) তার বিশ^কাপ খেলার স্বপ্ন  ধুলিসাৎ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তামিম ইকবাল। এ জন্য  বিসিবি উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করেছেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল।
একটি ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন, বিসিবির শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের কাছ থেকে অন্যায় আচরণ পেয়েছেন তিনি। তবে কারো নাম প্রকাশ করেননি তামিম।
তামিম ইকবালকে বাদ দিয়েই ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। ফিটনেস নিয়ে শঙ্কা থাকা সত্বেও পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন তামিম।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ৪৪ রানের ইনিংস খেলার পর তামিম বলেছিলেন, বিশ্বকাপ খেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত আছেন। কিছুটা ব্যথা থাকলেও ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ^কাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের আগে সুস্থ হয়ে উঠবেন।
তামিম জানান, নোংরা পরিস্তিতির  শিকার হয়েছেন তিনি। গত কয়েক মাসে এমন পরিবেশ বেশ কয়েকবার বাঁধা তৈরি করা হয়েছে এবং এটি আর মেনে নেয়া যায়নি বলেই বিশ্বকাপ থেকে তাকে  সরে যেতে হয়েছে।
আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড প্রোফাইলে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে তামিম বলেন, ‘বোর্ডের শীর্ষ পর্যায় থেকে কেউ আমাকে ফোন করেছিল। আমাদের ক্রিকেটের সাথেই জড়িত সে। তিনি বলেন, বিশ্বকাপে গেলে ইনজুরি সামলে ম্যাচ খেলতে হবে। তুমি আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে খেলো না।’
‘আমি উত্তর দিয়েছিলাম আফগানিস্তানের ম্যাচ এখনও ১২/১৩ দিন বাকি। এরমধ্যে  মধ্যে আমার অবস্থা ভালো হয়ে যাবে। আমি কেন খেলবো না? তারপর বললেন, খেললে নিচের অর্ডারে ব্যাট করতে হবে। এটা শোনার পর আমি হতবাক হয়ে গেছি। কারণ আমি আমার ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে ওপেনিং পজিশন ছাড়া নিচে ব্যাটিং করিনি। স্বাভাবিকভাবেই একটা কথা মনে রাখতে হবে তখন কোন মানসিকতা থেকে এসেছি। ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার পর ভালো ইনিংস খেলতে পেরে  আমি খুশি। হঠাৎ করেই এসব ঘটে। এটা নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিলো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বভাবতই আমি রেগে গিয়েছিলাম। কারণ আমি এটা পছন্দ করিনি। আমার মনে হচ্ছে আমাকে অনেক কিছু করতে বাধ্য করা হচ্ছে। তখন আমি বললাম দেখেন, আপনাদের যদি এমন চিন্তা থাকে তাহলে আমাকে পাঠাবেন না। আমি এই নোংরামিতে থাকতে চাই না। আমি এই নোংরা খেলার অংশ হতে চাই না। আপনি আমাকে প্রতিদিন নতুন কিছুর মুখোমুখি করেন। আমি এখানে থাকতে চাই না। তারপর আমাদের অনেক আলোচনা এবং বিতর্ক হয়। কিন্তু এখানে আমি সেগুলো বলছি না।’
তামিম আরও জানান, ভারতের বিমান ধরার জন্য প্রস্তুত ছিলেন তিনি। কারন সবকিছু ঠিকঠাক মনে হয়েছিলো তার।
তিনি বলেন, ‘ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার পর আমি খুব খুশি ছিলাম। আমি যেভাবে ব্যাটিং করেছি তাতে খুব খুশি ছিলাম, আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইনজুরি নিয়ে উদ্বেগ থাকায় বিশ্বকাপে পাঁচটি ম্যাচ খেলতে চেয়েছিলেন তামিম। একাধিক সংবাদমাধ্যমের এমনও বলা হয়, অর্ধেক ফিট খেলোয়াড়কে দলে রাখতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট।
ভিডিও বার্তায় ফিজিও রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে তামিম বলেন, পাঁচটি ম্যাচ খেলার কথা কাউকেই তিনি বলেননি। এই রিপোর্টকে ভিত্তিহীন আখ্যায়িত করে তামিম বলেন, ‘আমার কাছে ফিজিও রিপোর্ট আছে এবং কেউ যদি আমাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে তাদের স্বাগত। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সদ্য সমাপ্ত সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম এবং দ্বিতীয় ম্যাচের পরে আমার ব্যথা অনুভুত হয়েছে। আর বলা হয়েছে, ২৬ সেপ্টেম্বরের ম্যাচের জন্য আমি প্রস্তুতি। মেডিকেল বিভাগের ধারনা ছিল   আমাকে বিশ্রাম দেওয়া হলে এবং ২ অক্টোবর দ্বিতীয় অনুশীলন ম্যাচ খেললে আমি প্রথম ম্যাচের (আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ) আগে যথেষ্ট সময় পাবো।’
তামিম বলেন, ‘ম্যাচের(নিউজিল্যান্ড) পর ড্রেসিংরুমে আসেন তিনজন নির্বাচক এবং আমি তাদের সাথে কথা বলেছি। আমি নিশ্চিত নান্নু ভাই (প্রধান নির্বাচক) এটাও পরিষ্কার করেছেন যে,আমি বিশ্বকাপে মাত্র পাঁচটি ম্যাচ খেলতে চাই।’